মুখে খুন্তির দাগ, হাত-পায়ে কোপ
ডেস্ক রিপোর্টঃ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা। একটি কিশোরীর আর্তিচিৎকার। প্রায় সময়েই আশেপাশের মানুষ তার চিৎকার শুনত। কিন্তু এদিনের আর্তি আর উপেক্ষা করতে পারেনি তারা। থানায় খবর দিল। রাজধানীর দারুস সালাম থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করল তের বছরে সুমাইয়াকে। এভাবে মানুষ নির্যাতন করা যায়! মেয়েটির মুখে খুনতির দাগ, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত। শুক্রবার রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
আহত সুমাইয়ার বাড়ি পটুয়াখালীর সদরে। সে পাঁচ মাস ধরে দারুস সালামের ১০নম্বর রোডের মহিবুল্লাহ’র বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলো। দারুস সালাম থানার কর্তব্যরত এসআই মাসুদ মিয়া জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সুমাইয়াকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত গৃহকর্তা মহিবুল্লাহ ও গৃহকর্মী মরিয়ম পলাতক রয়েছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। মামলা নং-৩৪। এসআই মাসুদ মিয়া আরো বলেন, ওই বাসার গৃহকর্তা ও গৃহকর্মী মরিয়ম প্রায়ই সময় সুমাইয়াকে মারধর করতো। আশপাশের মানুষজন সুমাইয়ার চিৎকার প্রায়ই শুনতে পেত। বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন খবর দিলে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় সুমাইয়ার মুখে খুনতির দাগ, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে।