রাজন হত্যায় কামরুলসহ চারজনের ফাঁসির রায়,২ জনের যাবজ্জীবন,৩ জন খালাস
স্টাফ রির্পোটার: সিলেটে আলোচিত শিশু সামিউল আলম রাজনকে পৈশাচিক নির্যাতনে হত্যা মামলার রায়ে প্রধান আসামি কামরুলসহ চার জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।বেলা পোনে একটার দিকে রায় পড়া শেষ হয়। প্রধান আসামি কামরুল ছাড়াও বাকি তিন জন হচ্ছেন কামরুলের সহযোগী ময়না চৌকিদার, পাভেল ও তাজউদ্দিন।দুই জন খালাস পেয়েছেন। বাকি সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।এর মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাভেলসহ দুই জন পলাতক রয়েছেন।মাত্র চার মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণা হলো। রায়ের পর আদালতের চারপাশে শত শত মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়েন। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এই রায় পাঠ শুরু করেন।বিচার শুরুর এক মাসের মধ্যে আলোচিত এই মামলার রায় প্রদানের তারিখ নির্ধারিত হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে খুঁটিতে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের সময় ঘাতকরা নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিওচিত্রে ধারণ করে যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।এ ঘটনায় একে একে মুহিতের স্ত্রীসহ মোট ১২ জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে গত ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার। আদালত ২৪ আগস্ট চার্জশিট আমলে নেন। পরে ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এক সঙ্গে ৯টি সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। পরবর্তীতে ১৫ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করলে আদালত ১১ জনের পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দেন। টানা ৩ দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৭ অক্টোবর আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।