রাজন হত্যা : অভিযোগপত্রে পুলিশকেও চান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, অভিযোগপত্রে দায়ী পুলিশ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা না হলে এই হত্যার বিচার অসমাপ্ত থেকে যাবে।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ের একটি গ্যারেজ থেকে ভ্যানগাড়ি চুরির অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাজনকে। নির্যাতনকারীরা শিশুটিকে নির্যাতনের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ২৮ মিনিটের ওই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।
হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবে পালিয়ে যান হোতা কামরুল হাসান। এঘটনায় গাফিলতির জন্য পুলিশের দুই এসআইকে বরখাস্ত এবং এক পরিদর্শককে প্রত্যাহার হয়।
গতকাল রোববার ঘটনার দেড় মাসের মাথায় ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তবে তাতে কোনো পুলিশ সদস্যের নাম নেই। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সুরঞ্জিত বলেন, “আপনাদের তদন্তেই পুলিশ অফিসাররা হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আপনারা এদেরকে কাউকে ক্লোজড করেছেন, কাউকে বদলি করেছেন।
এক রেঞ্জ থেকে অন্য রেঞ্জে বদলি করলেই হবে না। তারা যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যাকাণ্ড সাহায্য করে কিংবা যদি ঘটনার সময় নিশ্চুপও থাকে তাহলে সেটা অপরাধ। এ কারণে তাদের নামেও চার্জশিট হওয়ার কথা।
পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে সুরঞ্জিত বলেন, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কামরুল বিদেশে পালিয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। পুলিশ পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিল বলেও জানা যায়। জনগণ তাকে বিদেশে ধরেছে, এই জন্য আমরা গর্বিত। কিন্তু সরকার এখনো তাকে ফেরত আনতে পারেনি।
‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি চিকিৎসক ইমদাদুল হক সেলিম। অন্যদের মধ্যে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি বক্তব্য রাখেন।