বালাগঞ্জে হিন্দু কিশোরী অর্পণা রানীকে অপহরন ও নির্যাতনের প্র্রতিবাদে মানববন্ধন
বালাগঞ্জ উপজেলার প্র্রশ্চিম গৌরপুর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের অর্প্র্রণা দাসকে অপ্র্রহরণ ও নির্যাতনের প্র্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি প্র্রালিত হয়েছে। মঙ্গলবার দপ্ররে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ মাইনারিটি ওয়াচ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধনে সভাপ্র্রতিত্ব করেন- বাংলাদেশ মাইনারিটি ওয়াচ সিলেট জেলা শাখার সংগঠক ও প্র্রবীন সাংবাদিক সুকেশ চন্দ্র দেব।
সভাপ্র্রতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ধর্ষনের রাষ্ট্রে প্র্ররিণত হয়েছে। ধর্ষণ ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ না হলে সরকারের সকল উন্নয়ন ভেস্তে যাবে। এজন্য রাষ্ট্রকেই জবাবদিহিতা করতে হবে।’
সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও ধর্ষনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখন আর প্রতিবাদ নয়, এখন প্রতিরোধের সময় এসেছে।’
সংখ্যালঘুরা এখন আর প্র্রিছিয়ে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র যদি সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের বিচার না করে তা হলে জনতাই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
সুকেশ চন্দ্র দেব প্র্রুলিশকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন যতই শক্তিশালী হোক না কেন, জনতার চেয়ে বড় কিছু নেই।’
বাংলাদেশ মাইনারিটি ওয়াচের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রাকেশ রায়ের প্র্ররিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ট্রাইবেল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপ্র্রতি দানেশ সাংমা, বাংলাদেশ ছাত্রযুব ঐক্য পরিষদের সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাস ধনু, সহ-সভাপতি সাংবাদিক শংকর দাস, হিন্দু-বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলা শাখার গণসংযোগ সম্পাদক লিটন পাল, মানবাধিকার কর্মী বিপ্র দাস বিশু বিক্রম, জ্যোতি প্রকাশ দাস, মানিক চন্দ্র সরকার, নয়ন মনি দাস, সত্যজিৎ গঞ্জু, বিজয় পুরকায়স্থ জিনোক, অলক দাস, আশীষ দাস, সাংবাদিক সঞ্জয় দাস, রাধাকান্ত দাস, বিশ্বজিৎ দাস বাবলু, পিযুষ দাস, সাংবাদিক সুব্রত দাস প্র্র্রমুখ।
মানববন্ধনে জানানো হয়- অর্প্র্রণা দাসকে অপ্র্রহরণ ও নির্যাতনের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আগামী রবিবার সিলেট পুলিশ সুপ্র্রার বরাবরে স্মারকলিপ্র্রি প্রদান করা হবে।প্রসঙ্গত, ভিকটিমের প্র্ররিবারের অভিযোগ, গত ৫ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় অর্পণা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে ওঁৎ প্র্রেতে থাকা হিরন মিয়া ও তার সহযোগীরা তাকে মুখে চেপে ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ২ দিন আটকে রেখে নির্যাতনের প্র্রর গত ৭ জুন একই গ্রামের শফিক আলীর বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদি হয়ে নির্যাতনকারী হিরন মিয়া ও তার ২ সহযোগী শফিক আলী এবং মায়ারুন নেছাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হিরন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিজ্ঞপ্তি