দুবাইতে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ
লুৎফুর রহমান, দুবাই: প্রবাসে থাকা প্রতিটি মানুষের মনের আয়নায় ভেসে ওঠে দেশের ফেলা আসা দিন। হাজার বর্ণের আর নানা সংস্কৃতির মাঝেও কাজের অবসরে সংঘবদ্ধ হয়ে এরা খুঁজে ফেরেন বাঙালিয়ানা। মনেপ্রাণে ষোলআনা এসব বাঙালি কাজের অবসরে বিদেশের মাটিতেও লালন করে চলছেন নিজের আপন সংস্কৃতি। গত ১৭ এপ্রিল আরব আমিরাতের দুবাইতে বাংলাদেশ সোস্যাল ক্লাব দুবাই আয়োজন করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। স্লোগান ছিল- এসো সোনালী জৌলুসে, নতুন সৃষ্টির আনন্দ গৌরবে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম কেউ এসেছে পায়ে আলতা, গায়ে শাড়ি আবার কেউ এসেছে পাঞ্জাবি আর একতারা হাতে। মা-বাবাদের সাথে নিজেদেরও সাজন বালা করে তুলতে জুড়ি নেই যেন কারো। আশপাশের ভিনদেশী নাগরিকরাও অবাক চোখে তাকিয়ে আছে বাঙালির বর্ষবরণের অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দেখতে।
আয়োজনের শুরু হয় ক্লাব কর্তৃক পৃষ্ঠপোষককৃত বই “আমিরাতের পথে-ঘাটে’র মোড়ক উন্মোচন দিয়ে। ক্লাব সভাপতি নওশের আলীর সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচন করেন শারজাহ ইসলামিক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল করিম। লেখকের বক্তব্য দেন বইয়ের লেখক লুৎফুর রহমান ও কামরুল হাসান জনি। ক্লাবের পক্ষে বক্তব্য দেন নজরুল ইসলাম চৌধুরি ও ক্যাপ্টেন আবু আহাদ। পরে চলতে থাকে দেশীয় নৃত্য। একঝাঁক ছোট্ট সোনামণি ‘একদিন বাঙালি ছিলামরে’ সহ নানা গানের সাথে সুন্দর নৃত্য উপস্থাপন করে মন ভরিয়ে দেয় সকলের। চলে অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ পুঁথি পাঠ। পুঁথি পাঠ করেন ছড়াকার লুৎফুর রহমান ও কমিউনিটি নেতা মাহবুবুর রহমান। দেশীয় খাবারের স্বাদ রাখতে দেশ থেকে আনা কদমা, বাতাসা, মুরুলি, পুলি পিঠা, খৈ, গুড়ের সন্দেশ, শেষে ঈলিশ মাছের সাথে নানা রকম ভর্তা আম ডাল … এক অপূর্ব দেশের অনুভবে কাটানো কিছু সময়, মনেই হয়নি আমরা প্রবাসে এমনটি জানালেন জুলফিকার হায়দার খান। নান বর্ণিল সাজ আর স্মৃাতি রোমন্থনে এমন করে সাঙ্গ হয় এ মিলনমেলা কিন্তু থেকে যায় আনন্দের রেশ।