কবি মুকুল চৌধুরীর ‘মাটির ঘটনা’ বইটি উন্নত চিন্তার কাব্য প্রয়াস
কবিরা হয় স্বপ্নচারী। তারা কবিতায় স্বপ্নের জগত তৈরী করেন। কবিতা মানুষের অনুভুতিতে নাড়া দিলে তবেই কবিতা স্বার্থকতা লাভ করে। কাব্য সাহিত্য মানুষকে মনুষ্য সমাজের বাইরে নিয়ে একটি উচু সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে। কবিতার দৈর্ঘ্য প্রস্থ হিসেব করলে কবি মুকুল চৌধুরীর ‘মাটির ঘটনা’ বইটি উন্নত চিন্তার কাব্য প্রয়াস। বইটির নামকরণ শুনলেই পাঠকরা বইটি কিনতে আগ্রহী হবেন।
কবিতা কেন্দ্র, সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত কবি মুকুল চৌধুরীর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘মাটির ঘটনা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গতকাল বুধবার নগরীর দরগাহ গেইটস্থ দেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ৮ম বইমেলা মঞ্চে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়।
এক্সেলসিয়র সিলেট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবাসী সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবীন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ ও মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কবি লে. কর্নেল (অব:) সৈয়দ আলী আহমদ। প্রভাষক কবি নাজমুল আনসারী ও জুন্নুরাইন চৌধূরীর যৌথ পরিচানায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক কবি মুসা আল হাফিজ, সাংবাদিক কবি নিজাম উদ্দিন সালেহ, সিলেট লেখিকা সংঘের সভাপতি কবি লাভলী চৌধুরী, কবি মাহবুবা সামসুদ, বিশ্ববাংলা সম্পাদক কবি মুহিত চৌধুরী। কবি আতাউর রহমান বঙ্গীর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যক্ষ কবি বাছিত ইবনে হাবীব। কবি মুকুল চৌধুরীর কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন প্রভাষক কবি মামুন সুলতান ও কবি উম্মে সুমাইয়া তাজবীন নীলা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ বলেন, কবি মুকুল চৌধুরীর ‘মাটির ঘটনা’ বইটি তার ২৬তম প্রকাশনার একটি। সাহিত্য সাধনার দীর্ঘ যাত্রায় তিনি যে অবস্থানে এসেছেন সে অবস্থানে আমি এখনো পৌছুতে পারিনি। আদম শব্দের অর্থ মৃত্তিকা বা মাটি। ‘মাটির ঘটনা’ বইটি পাঠ করলে পাঠক এই মাটির ঘটনাকেই বুঝতে পারবে। তার কবিতায় প্রচুর আধ্যাত্মিকতা রয়েছে। আর আধ্যাতিœকতা চিরকালেই ফিরে ফিরে আসে।
কবি মুসা আল হাফিজ বলেন, কবি মুকুল চৌধুরী স্ব মহিমায় আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে প্রষ্ফুটিত হয়েছেন। তার অধিকাংশ কবিতার নিকটতম সঙ্গী ও পাঠক আমি নিজেই। এই বইটি প্রেম পন্থীদের জন্য একটি সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
কবি লাভলী চৌধুরী বলেন, কবি মুকুল চৌধুরী একজন নিষ্টাবান ও পরিশ্রমী লেখক। তার প্রতিটি লেখায় পরিশ্রমের ছোয়া যে আছে তা বুঝা যায়। তিনি তার কবিতায় বুঝিয়েছেন এই মাটিতেই আমাদের সকলকে মিশে যেতে হবে। মাটি থেকেই আমাদের পরিশুদ্ধি।
অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কবি মুকুল চৌধুরী বলেন, সাহিত্যের মানুষ ছিলামনা আমি, বরং একজন খেলাধুলার মানুষ ছিলাম। একসময় সাহিত্যের জগতে ঢুকে পড়ি। কবিতা লিখতে গিয়ে তখন প্রখ্যাত কবি আফজাল চৌধূরীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করি। আমরণ তার সান্নিধ্যে থেকে নিজেকে ধন্য মনে করি।