সিলেটের শিল্প খাতের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে শিল্পমন্ত্রীর সাথে চেম্বার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়
গত ৬ মার্চ ২০১৫ইং শুক্রবার সকাল ১০:০০ ঘটিকায় চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে শিল্প খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি জনাব সালাহ্ উদ্দিন আলী আহমদ। স্বাগত বক্তব্যে সভাপতি মহোদয় বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের জন্য শিল্পখাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার জিডিপি-তে শিল্প খাতের অবদান ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার বিষয়টি জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৫-তে অন্তর্ভুক্ত করণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি আরো বলেন, সিলেটকে শিল্পখাতে এগিয়ে নিতে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি দীর্ঘদিন যাবৎ স্পেশাল ইকোনমিক জোন বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে আসছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সিলেট সহ দেশের ১৭টি স্থানে বেসরকারীভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। তিনি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন ও বিসিক শিল্প নগরী সম্প্রসারণে শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৫-কে সামনে রেখে আজকের মতবিনিময় সভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপর্ণ। আজকের সভায় আলোচিত অনেক বিষয় ও প্রস্তাব জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৫ প্রণয়নে সহায়ক হবে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রাইভেট ইকোনমিক জোন বাস্তবায়নে সরকার খুবই আন্তরিক, কারণ বেসরকারী উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের শিল্পখাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই বর্তমান সরকার বেসরকারী উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে এগিয়ে আসার জন্য সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা দিতে বদ্ধ পরিকর। তিনি জানান, বর্তমান সরকার দেশের প্রত্যেকটি জেলায় প্রাইভেট ইকোনমিক জোন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় প্রশাসনের নিকট খাস জমি ও অন্যান্য অবকাঠামোগত বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিনি অচিরেই সিলেটের শেরপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি সিলেটের ২টি বিসিক শিল্প নগরীর যে প্লটগুলোতে শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু নেই বা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান রুগ্ন শিল্প হয়ে পড়েছে সেগুলো সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, পর্যটন খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য ব্যবসায়ীদেরকে আহবান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এখন মাত্র সময়ের বিষয়। তিনি নিজেও এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত বলে উল্লেখ করেন। তিনি অথনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে সিলেট চেম্বারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি সিলেটে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি জনাব ফারুক আহমদ মিছবাহ, পরিচালক ও শিল্প সাব কমিটির আহবায়ক জনাব মোঃ লায়েছ উদ্দিন, প্রাক্তন পরিচালক জনাব আলহাজ্ব কলন্দর আলী, জনাব এম এ মান্নান, জনাব মুশফিক জায়গীরদার, সদস্য জনাব রুমায়েল আহমদ চৌধুরী, জনাব আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, জনাব মোঃ আরিফ মিয়া, জনাব আলীমুল এহছান চৌধুরী, জনাব মোঃ আবুল মিয়া ও উইমেন বিজনেস ফোরাম এর সভাপতি স্বর্ণলতা রায়। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি জনাব মোঃ মামুন কিবরিয়া সুমন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি জনাব মাসুদ আহমদ চৌধুরী, পরিচালক জনাব জিয়াউল হক, জনাব মোঃ সাহিদুর রহমান, জনাব এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী, জনাব আমিরুজ্জামান চৌধুরী, জনাব মুকির হোসেন চৌধুরী, জনাব আব্দুর রহমান, জনাব মোঃ বশিরুল হক, সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি জনাব এম এ ছালাম চৌধুরী, সহ সভাপতি জনাব হাজী ইফতেখার আহমদ সোহেল, পরিচালক জনাব মোঃ আতাউর রহমান, বাংলাদেশর ব্যাংক এর ডিজিএম জনাব মোঃ আলাউদ্দিন, বিসিক এর ডিজিএম জনাব এ কে এম আব্দুল হাই, কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি জনাব ফালাহ্ উদ্দিন আলী আহমদ, সিলেট চেম্বারের সদস্য জনাব শহিদ আহমদ চৌধুরী, জনাব আব্দুছ ছালাম, জনাব হানিফ মোহাম্মদ, জনাব মুজিবুর রহমান, জনাব আতাউর রহমান, জনাব আজিজুর রহমান সুন্দর, জনাব সানাউল্লাহ্ ফাহিম, জনাব সমীর লাল দে, জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান, জনাব ফখর উস সালেহীন, জনাব সৈয়দ কামাল উদ্দিন, জনাব আব্দুল হাফিজ, জনাব জিতু মিয়া, জনাব এ কে এম কামরুজ্জামান, জনাব আমিরুজ্জামান জোয়াহির, জনাব মঞ্জুর আল বাছেত, জনাব আব্দুল কাদির, জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, জনাব আকতার আহমদ, জনাব মোঃ আবু হোসেন, জনাব ছালেহ্ মোঃ ইসমাইল, জনাব মোস্তাক আহমদ, জনাব মঈনুল ইসলাম মঈন প্রমুখ।