রাজনৈতিক সমঝোতায় সহযোগিতার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের
জন কেরি ও মাহমুদ আলী বৈঠক
নিউইয়র্ক থেকে এনা: গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক সমঝোতায় সহযেগিতার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলীর সাথে বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশ ও আমেরিকার সুসম্পর্কের কথাও বৈঠককে উল্লেখ করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কাইমেট চেঞ্জ এবং শ্রমিকদের উন্নয়ন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। দেশের বর্তমান সংহিস পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করার আহবান জানান এবং সেই সাথে সব দলের শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশে সরকারকে
যথাযথ পদক্ষেপ নেবার প্রতি জোর আরোপ করেছেন তিনি। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি গুরুত্বারুপ করে বলেন, মানবাধিকার সুনিশ্চিতের জন্য সুষ্ঠু ও স্বাধীন গণমাধ্যমের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ভিত্তিমূলে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার বিষয়টি গুরুত্বারুপ করে জন কেরি বলেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জন কেরি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা তিনি উল্লেখ করেন। বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানির ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জন কেরি বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা এবং বিরোধী দলের রাজনৈতিক মতপ্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপ কোনটাই মেনে নেয়া যায় না। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী আমেরিকায় পালিয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানান। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই, ওয়াশিংটনের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়া উদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, ডিরেক্টর জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী চরমপন্থী সহিংসতা রুখতে হোয়াইট হাউজ আয়োজিত তিন দিনের সম্মেলনের সাইডলাইনে পররাষ্ট্র দফতরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সাথে বৈঠক করেন জন কেরি। ওই সম্মেলনে ৭০ এর বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন মাহমুদ আলী।