সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে চারদিন ধর্মঘটের পর প্রত্যাহার
স্টাফ রিপোর্টার :: টানা চারদিন সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি পালনের পর গতকাল দুপুরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিলের সাথে দীর্ঘ আড়াই ঘন্টাব্যাপী বৈঠকশেষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে আগামী ১১ মে’র মধ্যে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এ মহাসড়কর সংস্কার কাজ শুরুর আল্টিমেটাম দেন। এর মধ্যে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু না হলে আগামী ১২ মে থেকে তারা ফের ধর্মঘটে যাবেন তারা। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে চলা বৈঠকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে।
তবে, বৈঠকের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অতিরিক্ত সচিব আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে দেড় মাসের সময় নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী মঙ্গলবার প্রকল্পটি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটিতে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রীসভা কমিটিতে পাস হওয়ার পর আনুষঙ্গিক সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংস্কার কাজ শুরু হতে দেড় মাস সময় লেগে যেতে পারে। তবে, আন্দোলনকারীরা অতিরিক্ত সচিবকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
বৈঠকে মহাসড়কটি আপাত চালু রাখার জন্য আনুষঙ্গিক সংস্কার কাজ চালাতে সিলেট সদর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সিলেট সদর ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও’র নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এ কমিটি প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ার আগ পর্যন্ত মহাসড়কে চলমান সকল সংস্কার কাজ সমন্বয় ও তদারকি করবে।
বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব ছাড়াও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন, সওজ-এর সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান জাকির হোসেন, সওজ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম ভূঁইয়া, সওজের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইফতেখার কবির, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী চন্দন কুমার সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম, সিলেটের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা পিপিএম, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বাছির, সদর ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও যথাক্রমে মাহবুবুর রহমান ও আলমগীর কবির, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিক এবং আন্দোলনকারী বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলা ট্রাক কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক গ্রুপ, সালুটিকর-কোম্পানীঞ্জ-গোয়াইনঘাট বাস মালিক সমিতি, আম্বরখানা-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ৭০৭, ধোপাগুল পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, ধোপাগুল পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, সালুটিকর পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমবায় সমিতি, ছালিয়া সবুজ বাংলা যুব সংঘ, রঙ্গিটিলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, গোধুলী সমাজ কল্যাণ সংস্থা এবং খাদিম নগর ছাত্র কল্যাণ সংস্থাসহ মোট ১১টি সংগঠন মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে গত বুধবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালন করে। গতকাল শনিবার ধর্মঘটের চতুর্থ দিন অতিবাহিত হয়। অবশ্য, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।