ঢাকা মেডিকেলের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন করা হবে
ডেস্ক রিপোর্ট: চিকিৎসাসেবা মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কাজটি প্রথম শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ তাকে হত্যা করার পর পরের সরকারগুলো সেদিক থেকে সরে আসে। একের পর এক ক্যু হয়েছে এবং তারা নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার কাজে ব্যস্ত থেকেছেন। আজ বুধবার রাজধানীর চানখারপুলে বার্ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট সব সময় অবহেলিত ছিল। এদিকে কোনো সরকারেরই খেয়াল ছিল না। প্রধানমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেনকে তার নিরলস কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে দুই বছর আগে বিএনপি যখন সারাদেশে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন সামন্ত লাল সেন তার টিম নিয়ে পোড়া রোগীদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ড. সামন্ত লাল সেনের চাকরি তো শেষ হয়েই গিয়েছিল। তাকে আমরা পরে রেখে দিই। তার নেতৃত্বে চিকিৎসকরা পোড়া মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে যায়। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে খুব দ্রুতই এই ইনস্টিটিউটের কাজ শেষ হবে। দেশের প্রত্যেক হাসপাতালে বার্ন ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে যাতে এই ইনস্টিটিউটের যাতায়াত সহজ হয় সেদিকে খেয়াল রাখার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের জন্য গবেষণা কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চিকিৎসা সেবায় আধুনিকায়ন আনতে হবে। চিকিৎসা সেবা সহজ করার জন্য আমরাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় ইউনিট করে দিই। আমাদের রোগীরা যাতে দেশেই ভালো চিকিৎসা পায় সে দিকে মনোযোগ দিতে হবে।। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা রোধ করতে হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের পুরোনো ভবনগুলো সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, হেরিটেজের নামে আমাদের পুরোনো ভবনগুলোকে আনুনিকায়ন করা থেকে বিরত থাকা যাবে না।তবে হেরিটেজ ঠিক রেখেই পুরোনো ভবনগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। হেরিটেজ রক্ষা করতে গিয়ে যতি পুরোনো ভবনগুলো ভেঙে পড়ে তাহলে তার দায়দায়িত্ব কে নেবে? তখন তো হেরিটেজওয়ালারা তার দায় নেবেন না।তিনি বলেন, বিশ্বসভায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়। ভিক্ষা নয় নিজের পায়ে দাঁড়াবো আমরা।