সিলেট সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগের ২জন,বিদ্রোহী ৩জন,বিএনপি’র ২জন,বিদ্রোহী ১জন বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত
স্টাফ রিপোর্ট :: সিলেট সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটযুদ্ধ শেষ হয়েছে। এই গণনায় বেসরকারিভাবে আওয়ামীলীগের ২জন,আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ৩জন,বিএনপি’র ২জন,বিএনপি’র বিদ্রোহী ১জন নির্বাচিত হয়েছেন। পৌরসভার নির্বাচনের পর আবার সিলেট সদর উপজেলায় ইউনিয়ন নির্বাচনে হুছুট খেল আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে হার মেনেছে দল মনোনীত প্রার্থীরা।
বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হলেন সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কান্দিগাও ইউনিয়নে নিজাম উদ্দিন, মোগলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ মনোনীত হিরন মিয়া। এছাড়া আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সদর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আফসর আহমদ খাদিম পাড়া ইউনিয়নে,জালালাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনফর আলী,টুলটিকর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের জেলা সভাপতি এস এম আলী হোসেন।
এদিকে টুকের বাজার ইউনিয়নে বিএনপি’র সহিদ আহমদ,হাঠখোলা ইউনিয়নে বিএনপি’র আজির উদ্দিন বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আবার খাদিম নগর ইউনিয়নে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৯৫টি কেন্দ্রের ৬০৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে টুকেরাবাজারের আখালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এবার সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ২ লাখ ৭ হাজার ৩৭০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। উল্লেখ্য, সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ, ২নং হাটখোলা, ৩নং খাদিমনগর, ৪নং খাদিমপাড়া, ৫নং টুলটিকর, ৬নং টুকেরবাজার, ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন এবং ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪৯০ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ৯১ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫৯ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করেন।