সিলেটে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বিপাকে আওয়ামী লীগ
ডেস্ক রিপোর্ট :: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সিলেট বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীগ। দল থেকে বহিস্কার করেও ঠেকানো যায়নি বিদ্রাহীদের।
আগামী ২২ মার্চ সিলেট সদর উপজেলার ৮ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে পাঁচ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। যারা দলের মূল প্রার্থীর বিজয়ের পথে কাঁটা হতে পারেন বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
তৃণমূল নেতা-কর্মী ও দলীয় সূত্র জানায়, উপজেলার খাদিমপাড়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। এখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফসার আহমদও প্রার্থী হয়েছেন। টুলটিকর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বির। জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি এস এম আলী হোসেন এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দলীয় পরিচয়ের দাপটে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদের সঙ্গে হয় কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ আশঙ্কায় গত বুধবার রাতে জেলার জরুরি সভা থেকে আফসার আহমদ, এস এম আলী হোসেনসহ জালালাবাদ ইউপিতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মনফর আলী, মোগলাগাঁওয়ে শামছুল ইসলাম ও কান্দিগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মিয়াকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ভোটার ও আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা জানান, টুলটিকর ও খাদিমপাড়া নগরের উপকণ্ঠে হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের সব স্তরের নেতারা নিয়মিত এ দুটি ইউনিয়নে যাতায়াত করছেন। তাঁদের মধ্যেও দলাদলি রয়েছে। এক পক্ষ নৌকার অবস্থা বুঝতে গিয়ে বিদ্রোহীর খোঁজখবর নিচ্ছেন, গোপনে তাঁর পক্ষে খাটছেনও। খাদিমপাড়া ও টুলটিকর ইউপির ওয়ার্ড শাখার দুজন নেতা বলেন, তাঁদের দেখামতে ঠিক এই নির্বাচনের মতোই অবস্থা ছিল পৌরসভা নির্বাচনে গোলাপগঞ্জ ও কানাইঘাটে। এঁদের একজন হতাশার সুরে বলেন, ‘এখন ভোটের ফল যদি সেই দুই পৌর নির্বাচনের মতো হয়, তাহলে তো আর আশা নেই।’ গত পৌরসভা নির্বাচনে কানাইঘাট ও গোলাপগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফলের ছায়া কোনো ইউপিতে পড়বে না উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ গ্রামের নির্বাচন। পৌরসভা বা শহরের মতো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। আমি সব কটি ইউপিতে ঘুরেছি। উন্নয়ন ও রাজনীতিই মুখ্য হয়ে উঠেছে। এ কারণে প্রার্থীরাও রাজনৈতিক তৎপরতার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।’