সিলেটে নৌকার জনসভায় বিশেষ অতিথি হয়ে ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা শাহ জামাল নুরুল হুদা
ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেট সদর উপজেলার ৬নং টুকেরবাজার ইউনিয়নে বিএনপি নেতা শাহ জামাল নুরুল হুদা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ আলতাফ হোসেনের নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাওয়ায় সদর উপজেলা ও বিএনপিতে তোলপাড় চলছে।
১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় টুকেরবাজারস্থ নৌকা প্রতীকের প্রধান কার্যালয়ে তিনি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন এবং নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট চান বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কর্মীরা। তিনি বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শহীদ আহমদের বিপক্ষে কাজ করায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
শাহ জামাল নুরুল হুদা সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় ৪ বছর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের নির্বাচনে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদেও বিএনপির হয়ে লড়াই করেন। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলা তাঁতী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। বিএনপির আলোচিতে এই নেতা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ আলতাফ হোসেনের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ারও নির্দেশ দিচ্ছেন। এ নিয়ে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তারা জানান- প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মতামতের ভিত্তিতে সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় প্রার্থী দিয়েছেন জেলা ও সদরের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও শাহ জামাল নুরুল হুদা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছেন। এমন কাজ করে তিনি কেবল সিলেট বিএনপি নয়, দলের হাই কমান্ডকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। আমরা চাই, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য শাহ জামাল নুরুল হুদাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হোক।
এ ব্যাপারে শাহ জামাল নুরুল হুদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- দেখেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাই মুসলমান, সবাই বাঙালি, সবাই সিলেটী। কেউতো আর নাপাক নয়। আমি ফ্রি মাইন্ডে চলি। এরপরও যদি কেউ আমাকে আওয়ামী লীগ লেভেল দিয়ে দেয়, ‘আই ডোন্ট কেয়ার’। তিনি বলেন- মনে রাখতে হবে এটা হলো লোকাল ইলেকশন। এখানে বিএনপির কর্মীরা আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে, অনেক আওয়ামী লীগ কর্মী বিএনপির হয়ে কাজ করছে। আমি কখনো হিংসাত্মক রাজনীতি পছন্দ করি না, সেই রাজনীতি করিও না।