রাগীব আলীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির দুই মামলা তদন্ত শুরুর নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার :: ‘দানবীর খ্যাত’ রাগীব আলীর বিরুদ্ধে পুরোনো দুটি জালিয়াতি মামলার তদন্ত আবারো নতুন করে শুরু করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জাল দলিল তৈরি করে তারাপুর চা-বাগানের জমি আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও হাউজিং ব্যবসা করার ঘটনায় এই মামলা দুটি ২০০৫ সালে সিলেট কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা হয়েছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এক সংক্ষিপ্ত আদেশে মামলা চালুর নির্দেশ দেন। আদালত বলেন , নথি দেখে বিস্তারিত আদেশ পরে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী জানান, তারাপুর চা-বাগানের দলিল জালিয়াতির দুটি মামলা রাগীব আলীর ওপর ছিল। এই দুটি মামলার তদন্ত আবার শুরু করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার দুটি এজাহারে জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভুয়া পত্রের মাধ্যমে তারাপুর চা-বাগানের জমি হস্তান্তর ছিল জালিয়াতি। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ জমি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়। অথচ রাগীব আলী এই ভুয়া পত্র দিয়ে চা-বাগানের জমি রেজিস্টি , জমি দখল, মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও হাউজিং ব্যবসা শুরু করেন। তাই সরকারি জমি আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত থাকায় রাগিব আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় ২০০৫ সালে সিলেট কোতোয়ালি থানায় দুটি জালিয়াতি মামলা (নম্বর -১১৭/৫ ও মামলা নম্বর-১২/৫) দায়ের করা হয়েছিল।
আদালত সূত্র জানায়, এই দুটি মামলা দায়েরের পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন (নম্বর-৯০০৮/৫) মামলায় বিগত ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট দেওয়া রায় ও হাইকোর্টের ফৌজদারি রিভিশন মামলা (নম্বর -১৭৪/০৬) ২০০৯ সালের ১৮ আগস্ট প্রদত্ত রায়ের মর্মানুযায়ী আদালত ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর নথিজাত করেন। যা পরবর্তী সময়ে এসে সুপ্রিম কোর্টের সিভিল আপিল মামলা (নম্বর -১৬৩/৯) মামলায় আপিল বিভাগ ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি পুনরায় চালুর নির্দেশনা প্রদান করেন।