ত্বক ভালো করার জাদুকরী সাত খাবার
ডেস্ক রিপোর্ট :: সুস্থ, সুন্দর ও লাবণ্যময়ী ত্বক কে না চায়। সুন্দর ত্বক সব নারীরই অনেক আকাঙ্ক্ষিত।বিশ্বব্যাপী লাখো লাখো মানুষ ক্রিম ও লোশনসহ অন্যান্য প্রসাধনীর পেছনে প্রচুর টাকা ব্যয় করেন শুধুমাত্র ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য। তবে বিশেষজ্ঞরা প্রসাধনীর পেছনে খরচ না করে পুষ্টিকর খাবারের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
নিউট্রিসেন্টার ডটকমের প্রধান পুষ্টিবিদ সোনা উইলকিনসন বলেন, অধিকাংশ মানুষ খাবার এবং ত্বকের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করে না। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো ত্বকের সুস্থতা নির্ভর করে খাবার ও পুষ্টির ওপর। দুর্বল ডায়েটের কারণে ত্বক ফ্যাকাশে, রুক্ষ ও ব্রণ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যকর ডায়েট পাশাপাশি শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, বীজ, শিম, মাছ, খাদ্যশস্য ইত্যাদি উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য চমৎকার কাজে দেয়। নিচের খাবারগুলি পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
কমলা রঙের সবজি ও ফলমূল: গাজর, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন এবং ক্যারটিনয়েড আছে। বেটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন-এ তে রুপান্তরিত হয়। আর এটি আমাদের ত্বকের বিশুদ্ধতার জন্য খুবই দরকারি। ত্বকের দূঢ়তা, ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ এবং নিরাময়ে সাহায্য করে। ফ্রি রেডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের কোষকে সুরক্ষা দেয় বেটা ক্যারোটিন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ত্বককে বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে।
বেরি: বিভিন্ন প্রকারের বেরি যেমন, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাককারেন্ট ভিটামিন-সি এর চমৎকার উৎস। পুষ্টিবিদ কাসান্দ্রা বার্নস বলেন, আমাদের দেহে কোলাজেন গঠনে এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা আমাদের ত্বক গঠন এবং নমনীয়তা আনে। ভিটামিন-সি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও, যা আমাদের দেহের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
তৈলাক্ত মাছ: সামুদ্রিক মাছ যেমন সার্ডিন, ম্যাকেরেল, স্যামন, ট্রাউট ইত্যাদি মাছে উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। কাসান্দ্রা বলেন, ত্বকের গঠন এবং বাহ্যিক রুপের ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
অ্যাভাকাডো: এটি ভিটামিন-ই এর ভালো উৎস। ত্বকের সুস্থতায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ভিটামিন-সি এর মতো এটিও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি রেডিক্যালস, অতি বেগুনি রশ্মি, লাল ফুসকুড়ি, ব্রণ, প্রদাহ ইত্যাদি রোধ করতে সহায়তা করে।
সবুজ পানীয়: পুষ্টিবিদ কাসান্দ্রা বার্নস বলেন, তাজা সবজির জুসে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সবজির জুসে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালকালয়েড (ক্ষার সদৃশ) রয়েছে, যা আমাদের শরীরকে অতিরিক্ত অ্যাসিডমুক্ত করে। অতিরিক্ত অ্যাসিডের কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি এবং অ্যাকজিমা দেখা দেয়। তাছাড়া সবুজ পানীয়তে ভিটামিন-সি, বেটা ক্যারোটিন এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। জুস পানের সুযোগ না থাকলে প্রচুর শাকসবজি খেতে পারেন।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ: এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক বা দস্তা থাকে। ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হিসেবে কাজ করে। উইলকিনসন বলেন, বলা হয়ে থাকে ২০ শতাংশ জিঙ্ক আমাদের ত্বকে জমা হয়। ত্বকের বিকাশ এবং নিরাময়ের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
যব: যবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স রয়েছে। এটি ত্বক এবং চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই পরিচিত।