ছাতকে সুরমা নদীর পানি দূষন তদন্তে টালবাহানা
ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকের সুরমা নদীর পানি দূষিত করে যাচ্ছে একটি অসাধু ব্যবসায়ি চক্র। দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে পাথর ভাঙ্গার ওয়াসিং মেশিন ব্যবহার করে নদীর পানি দূষিত করায় কমে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ। ভরাট হয়ে যাচ্ছে সুরমা নদীর তলদেশ। নদীতে মাছ সংকটের কারনে স্থানীয় শত শত মৎস্যজীবীরা বেকার হয়ে পড়ছে। দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে এলাকা নারী-পূরুষ ও শিশুরা চর্ম রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন প্রায় এক মাস আগে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তদন্তের বিষয়টি নিয়ে নানা টালবাহানা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা যায়, ছাতক পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের চরেরবন্দ আবাসিক এলাকার প্রায় ৮৫ভাগ লোকজনই মৎস্যজীবী। তাদের মাছ শিকারেই সংসার চলে। দীর্ঘ এক বছর ধরে কতিপয় অর্থ লোভী ব্যবসায়ীরা অবৈধ ভাবে তাতিকোনা থেকে ছাতক সদর ডাকঘর সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পাথর ভাঙ্গার ওয়াসিং মেশিন ব্যবহার করে নদীতে ডাস্ট ফেলায় নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ। স্থানীয় মৎস্যজীবী নোমান আলী বলেন, নদীর পানি লাল হয়ে বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এ নদীর পানি ব্যবহারের কারনে নারী-শিশুদের শরীরে নানা চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নওশাদ আলী ও সাবেক কাউন্সিলর মাসুক মিয়া জানান, অবৈধ পাথর ভাঙ্গার ওয়াসিং মেশিন ব্যবহারকারিদের সাথে আলোচনা করেও কোন লাভ হয়নি। প্রতিদিনই নদী তীরবর্তী এলাকায় নতুন নতুন মেশিন বসানো হচ্ছে। ফলে ভরাট হয়ে নদীর পানি লাল রং ধারন করে মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, সুরমা নদীর নাব্যতা সংকট ও পরিবেশের জীব বৈচিত্র রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে ব্যবসায়িদের ডেকে দ্রুত পানি দূষন রক্ষার জন্য ওয়াসিং মেশিন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হবে। তার পরও যদি আইন অমান্য করা হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।