সিলেটে ‘সেক্স আশরাফুলে’র রমরমা ভোগ-বানিজ্য
ডেস্ক রিপোর্ট : আশরাফুল ইসলাম । নামের আগে বড়অক্ষরে মাওলানা খেতাব। কিন্তু ব্যবসা করেন সেক্স বর্ধক উপকরনের। আর এ কারনে তিনি হারবাল আশরাফুল ও সেক্স আশরাফুল নামেই পরিচিত। তিনি নিজেও সেক্সপ্রিয় তাই চিকিৎসার নামে ব্যবসা করেন সেক্সবর্ধক সামগ্রীর। আশরাফুল সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিন এলাকাধীন দত্তরাইল গ্রামের মরহুম মৌলানা আব্দুর রহমানের পুত্র আশরাফুল হারবাল চিকিৎসার আড়ালে করে থাকেন যৌনতার রমরমা ব্যবসা। যৌনশক্তি বৃদ্ধির বাস্তব প্রমান দেখিয়েই তিনি গ্রাহকদের আকর্ষন করেন তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে। আর এর বাস্তব প্রমান দেকাতে উপকরন হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন সুদর্শন নারীদের। একেক সময় একেক সুদর্শনাকে বউ অথবা কর্মচারী পরিচয়ে রাখেন বাসায় ও প্রতিষ্টানে। যৌনতায় অক্ষম ও দূর্বলদের চিকিৎসার মাদ্যমে সেক্সে বৃদ্ধির প্রমান দেখাতে সুদর্শনা ওই তরুরনীকে ব্যবহার করেন তিনি। নিজেও ব্যবহার করেন যৌনদাসী হিসেবে। সেক্স ও বিয়ে পাগল আশরাফুল হারবাল চিকিৎসার নামে অবৈধ ও অনৈতিক ব্যবসা ব্যবসা করে তিনি কামাই করেছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। পাচার করে দেশে-বিদেশে মালিক হয়েছেন বিলাসবহুল বহু বাড়ি ও গাড়ির মালিক। হয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীও। অবৈধ ব্যবসা ও নারীভোগ নির্বিঘেœ চালাতে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের রেখেছেন ইংল্যান্ডে। দেশে তার এ সেক্স বর্র্ধক অনৈতিক ব্যবসা প্রতিষ্টানের নাম ‘আশরাফ জেনুইন টাচ্ অব ন্যাচার’। সিলেট নগরীর মেন্দিবাগের গার্ডেন টাওয়ারের নিচতলার ১৯৪ থেকে ১৫২ নং দোকানে তার এ সেক্সবর্ধক প্রতিস্টান। তিনি এ প্রতিষ্টানের প্রোপাইটর। হারবাল চিকিৎসার নামেই মূলত আপত্তিকর ব্যবসা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টাকার বিনিময়ে হম্বী-তম্বী মেয়েদের এনে কর্মচারী বা নববধু পরিচয়ে তাকে ব্যবহার করে হারবাল চিকিৎসা নামে সেক্সবর্ধক ব্যবসা করে থাকেন তিন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে,আশরাফুল বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও সেখানে তার স্ত্রী সন্তান থাকলেও বারবার ফিরে আসেন দেশে ব্যবসার ও নারীভোগের টানে। ইসলামে টাইমেড (মুতা’) বিয়ে হারাম হলেও মাওলানা নামধারী আশরাফুল কৌশলে নিজের জন্য তা হালাল করিয়ে নেন। দেশে আসলেই অনৈতিক ব্যবসা ও ভোগের প্রয়োজনে জরুরী হয়ে পড়ে তার নতুন একটা বিয়ের। এভাবে বহু মুত’া (টাইমেড) বিয়ে করেছেন নারীভোগী ও অনৈতিক ব্যবসায়ী আশরাফুল। স্থানীয়রা জানান,আশরাফুল দেশে আসলে সিলেট নগরীর উপশহরস্থ ¯প্রীং টাওয়ারের ৭ম তলার ৪৭৪ নং ভাড়া ফ্যাটে উঠেন। প্রতিবারই দেশে আসলে টাওয়ারের লোকজনের পরিচয় ঘটে তার নতুন একটা বউয়ের সাথে। মানে দেশে ফিরে প্রতিবারই কোন না কোন নারীকে নতুন বউ সাজিয়ে ফ্যাটে তুলেন তিনি। চলে গেলে সেই বউয়ের আর হাদিস পায় না কেউই।
মাওলানা খেতাবধারী আশরাফুলের অনৈতিক এ সেক্সবর্ধক ব্যবসার গোপন তথ্য প্রকাশ পায় তার প্রতিষ্টানের এক নারী কর্মচারীর মাধ্যমে। পপি (ছদ্মনাম) নামের এক সুদর্শনা তরুণীকে তিনি নিয়োগ দিয়েছিলেন তার প্রতিষ্টানের কর্মচারী পদে । পরে তিনি তার অবৈধ ব্যবসায় তাকে ব্যবহার ও নিজে বিয়ের প্রলোাভনে ভোগ করার চেষ্টা করতে থাকেন। যৌনবর্ধক চিকিৎসার বাস্তব প্রমান হিসেবে গ্রাহকদের ভোগে দেয়ার বার বার চাপ দেন তাকে। এ অপকর্মে রাজি না হওয়ায় তাকে বসে আনতে তার স্পর্শকাতর অঙ্গে তিনি অনেকবার হাত দিয়েছেন। তার এহেন যৌনপীড়নে অতিষ্ট হয়ে ওই তরুনী প্রতিষ্টান ছেড়ে পালিয়ে তার খপ্পর থেকে শারিীকভাবে রক্ষা পেলেও নানাভাবে তাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন তিনি। বাধ্য হয়ে ওই তরুণী গতবছরের ১০জুন এসএমপি কমিশনারের কাছে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে অভিযোগ আমলে নেয়নি পুলিশ। ফলে আশরাফুল যখনই দেশে ফিরেন তখনই তাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন। সেক্সব্যবসায়ী আশরাফুলের ওই প্রতিষ্টানে বর্তমানে আরো এক তম্বী তরুনীকে যোগাড় করেছেন। এটাকে কখনো প্রতিষ্টানের কর্মচারী আবারো কখনো নববধু পরিচয় দিয়ে থাকেন তিনি। এবাবে হারবাল চিকিৎসার আড়ালে চলছে আশরাফুলের অনৈতিক ভোগ ও সেক্সবর্র্ধক সামগ্রীর ব্যবসা। আর এ ব্যবসার মাধ্যমে তিনি সমাজকে ঠেলে দিচ্ছেন অন্ধকার জগতের দিকে। এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ আশরাফুলের এ অনৈতক ব্যবসা ও ভোগ-বিলাস বন্ধে আশু ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
এব্যপারে আশরাফুরের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেন, প্রশাসন তার হাতের মুঠোয় রয়েছে, ‘সাংবাদিক টাংবাদিক তার কিছুই করতে পারবে না’ বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন তিনি।