বিশ্বনাথে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান দ্বন্দে আটকে আছে দেড় কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নুরউদ্দিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দের কারণে প্রায় দেড় কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ আটকে আছে। ওই দুজনের দ্বন্দ ও গত বছরের ২৬ নভেম্বর দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় একাধিক মামলা দায়েরের পর থেকে উপজেলা পরিষদের মাসিক সম্বন্বয় সভা হচ্ছেনা। আর উপজেলা পরিষদের মাসিক সম্বন্বয় সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ার ফলে গ্রহণ করা যাচ্ছেনা কোন উন্নয়ন প্রকল্প।
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করতে না পারার ফলে ‘এডিপি খ্যাতে প্রায় ৪৪ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের প্রায় ৪২ লাখ টাকা ও টিআরের প্রায় ১৫০ টন চাল’ উপজেলাবাসীর উন্নয়নে ব্যয় করা যাচ্ছে না। ফলে ব্যহত হচ্ছেন সরকারের গৃহিত গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন। উপজেলার জনসাধারণ হচ্ছেন উন্নয়ন বঞ্চিত।
চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে চলমান দ্বন্দের অবসান না হলে এবং এসব টাকা-চাল দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা না হলে চলতি বছর এসব খ্যাতে আটকে (জব্দ) থাকা নগদ টাকা ও চাল-গমের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে। ফলে উপজেলাবাসীকে আরোও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত থাকার আশঙঙ্খাও রয়েছে।
উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, নিজেদের স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য পূর্বের মতো এবারের উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বন্দ সৃষ্টি হওয়াতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বিশ্বনাথের সাধারণ জনগণ। উপজেলাবাসীর উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সবার উচিত নিজেদের মধ্যে থাকা দ্বন্দের অবসান করে সবাই একত্রে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা না হওয়ার ফলে কোন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এতে করে এসব ‘টাকা ও চাল’ ব্যবহারও করা যাচ্ছে না।