‘অবসরে যাওয়া বিচারপতিরা যে রায় লেখেন তা আইনপরিপন্থী’
ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেছেন, কোনো কোনো বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী।
বাংলাদেশের ২১ তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বাণীতে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ গ্রহণ করেন। কোনো বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বিধায় তাঁর গৃহীত শপথও বহাল থাকে না। আদালতের নথি সরকারি দলিল (পাবলিক ডকুমেন্ট)।
“একজন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর আদালতের নথি নিজের নিকট সংরক্ষণ, পর্যালোচনা বা রায় প্রস্তুত করা এবং তাতে দস্তখত করার অধিকার হারান। আশা করি বিচারকগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকবেন।”
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত আপিল বিভাগে মামলা নিষ্পত্তির পরিমাণ নয় হাজার ৩৫৬টি। এ সময় বিগত বছরের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৯টি। এ ক্ষেত্রে তুলনামূলক মামলা নিষ্পত্তির শতকরা হার ১৬২ শতাংশ।
হাইকোর্ট বিভাগে ২০১৫ নালের নভেম্বর পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৮০ টি। অথচ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ২২ হাজার ৪৭৭ টি। এ ক্ষেত্রে তুলনামূলক মামলা নিষ্পত্তির শতকরা হার ১৪৯ শতাংশ।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন আদালতে মোট মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৩টি। এ সময়ে ২০১৪ সালে নিষ্পত্তির পরিমাণ নয় লাখ ৯৭ হাজার ৬৫২ টি। এ ক্ষেত্রে তুলনামূলক মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৭ শতাংশ।