বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আর এ গনি
ডেস্ক রিপোর্টঃ স্ত্রীর করবে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি। তিন দফা জানাজা শেষে শুক্রবার বিকেলে তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
শুক্রবার সকালে তার মরদেহ স্কয়ার হাসপাতাল থেকে তার ধানমন্ডির বাসায় নেওয়া হয়। বাদ জুমা রাজধানীর সাত মসজিদ রোডের ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে, দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাজা ও বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ড. আর এ গণির তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে স্ত্রীর কবরেই তাকে দাফন করা হয়। এ সময় তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ড. গণির মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান দুঃসময়ে ড. আর এ গণির পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া দেশ ও দলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বর্তমানে সুস্থ পরিবেশে গণতন্ত্র চর্চার চরম সংকটকালে তার মতো একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের পরামর্শ ও উপস্থিতি ছিল খুবই জরুরি। স্বহৃদয় এই মানুষটি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই নিরলসভাবে দেশ ও দলের জন্য কাজ করে গেছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, তিনি শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শণ ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করতেন। যে কারনে তিনি মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আপোষহীনভাবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করেছেন। কখনই তিনি নীতি ও আদর্শ থেকে কিঞ্চিত পরিমানও বিচ্যুত হননি। জিয়াউর রহমান ও আমার অকৃত্রিম সহকর্মী হিসেবে ড. গণি কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই একাগ্রচিত্তে কাজ করে গেছেন। তার সুচিন্তিত পরামর্শ ছিল অতীব মূল্যবান। সুসময় ও দুঃসময় উভয়কালেই তিনি নিজেকে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। দলের সকল সংকটকালে তিনি পিছিয়ে থাকেননি, বরং দুঃসাহসের ওপর ভর করে সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছিলেন।