ছাত্রদল নেতা জিলু হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে বাদির নারাজি
ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটে বহুল আলোচিত ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু হত্যা মামলার দাখিল করা অভিযোগ পত্রের উপর নারাজি দিয়েছেন বাদি। প্রধান আসামী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মাহবুব কাদির শাহীসহ ১২ জনকে বাদ দেওয়ায় বাদি নিহত জিলুর ভাই আহমেদ আহসান মাহবুব বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-১ এ নারাজি দেন।
বাদির নিযুক্ত আইনজীবী ফজলুল হক সেলিম, মোতাহির আলী, মোহাম্মদ জুয়েল ও তাহমিনা তাবাসসুম আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে আংশিক নারাজি আবেদন করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, সব আলামত ও তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও তদন্তকারী কর্মকর্তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রধান আসামী শাহীসহ ছাত্রদল কর্মী জয়নাল আবদীন, মো. সাদিক, গাজী লিটন, সালেহ আহমদ, নেছার আলম শামীম, কাউসার আহমদ, নাসির আহমদ, খাইরুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন মঞ্জু, রায়হান খান বাবলা ও হেলাল আহমদকে বাদ দিয়েছেন। বাদি ন্যায় বিচারের স্বার্থে সকল আসামীদের অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ কিংবা পিবিআই, ডিবি বা সিআইডির মাধ্যমে তদন্ত করার আদেশ প্রদানে আর্জি করেন। আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জশিটের উপর শুনানীর জন্য আগামী ১০ মার্চ তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে বলে অ্যাডভোকেট তাহমিনা তাবাসসুম জানিয়েছেন।
গত বছরের ২৭ জুন নগরীর পাঠানটুলায় গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলুকে প্রকাশ্যে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর সাবেক ছাত্রদল নেতা শাহীসহ দলের ২০ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই আহমেদ আহসান মাহবুব বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার সময় স্থানীয় জনতার হাতে দুজন আটক ছাড়া মামলা দায়েরের পর কোন আসামীকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকান্ডের দেড় বছর পর গত ৭ ডিসেম্বর বাদিকে না জানিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই কমর উদ্দিন।
চার্জশিটে তিনি প্রধান আসামীসহ ১২ জনকে বাদ ছাড়াও নতুন করে ১১ জনকে অভিযুক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে নারাজি আবেদনে দাখিল করা চার্জশিটের নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরে বলা হয়, নিহত জিল্লুর শরীরে ৯টি আঘাত রয়েছে। যার সঙ্গে প্রধান আসামীসহ অন্যদের সংশ্লিষ্টতার প্রমান রয়েছে। তার পরও তদন্তকারী কর্মকর্তা ইচ্ছামত চার্জশিট লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি আসামীদের দ্বারা প্ররোচিত হয়েছেন। আবেদনটি মঞ্জুর করে বাদ দেওয়া আসামীসহ সকল আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/৩২৬/৩০২/১১৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করার আর্জি করা হয়।