স্ত্রীকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে শ্যালিকাকে অপহরণ!
ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রেম করে বিয়ের দুই মাস পার না হতেই সংসারে ঝগড়াঝাটিসহ নানারকম ঝামেলা বাঁধে। তাই রাগ করে সিলেট সদরের আখালি নতুন বাজার এলাকায় বাপের বাড়িতে চলে যান সুমি খাতুন। স্বামী রানা স্ত্রীকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে কৌশল হিসেবে শিশু শ্যালিকা নাজিয়াকে (৪) অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
অপহরণের পর ফোন করে সুমির পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করেন রানা! পরে সুমির অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকা থেকে শিশু নাজিয়াকে উদ্ধার এবং রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সুমির অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে গোড়ান এলাকার একটি বাসা থেকে শিশু নাজিয়াকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে রানাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় রানা অসুস্থতার ভান করে। পরে তাকে বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘রানার দাবি- তার স্ত্রী সুমি সংসার করতে না চাওয়ায় তার মামাত বোন নাজিয়াকে (পাশাপাশি বাড়ি) কৌশলে অপহরণ করেন তিনি। স্ত্রী সুমিকে আনতে ২৭ ডিসেম্বর সিলেটে যান রানা। ওই দিনই নাজিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে আসেন তিনি। গত দুই দিন ধরে শিশুটিকে গোড়ানের একটি বাসায় আটকে রাখেন তিনি।’
২৮ ডিসেম্বর সুমির পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করেন রানা। তিনি সুস্থ হলে সিলেট সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি।
রানার স্ত্রী সুমি খাতুন জানান, রানা ঢাকা-সিলেট রুটের একটি বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করেন। সুমি ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় যাতায়াত করার সুবাদে তার সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয়। সেই থেকে ভালো লাগা। তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। পরে তাদের বিয়ে হয়। রানার বাড়ি বরিশালে। বিয়ের পর দুই মাস ধরে তারা গোড়ান এলাকায় থাকতেন। তবে এখন আর রানার সঙ্গে সংসার করতে চান না বলে জানান সুমি।