প্রতক্ষ্যদর্শীর বর্ণনায় রাজশাহীর মসজিদে ‘আত্মঘাতী বোমা’ হামলা (ভিডিও সহ)
ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজশাহীর বাগমারায় কাদিয়ানি মসজিদে বোমা হামলাকারী নিজেকে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। জুম্মার নামাজ শুরুর আগে স্থানীয় মুসল্লিদের জিজ্ঞাসায় তিনি এ পরিচয় দেন।
তবে তার নাম, কোনো বিভাগে ও কোনো বর্ষের শিক্ষার্থী তা জানাতে পারেননি সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা। বাগমারার মচমইল সৈয়দপুর এলাকার কাদিয়ানিদের মসজিদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় বোমা হামলা করা হয়।
হামলায় আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ময়েজ তালুকদারের ভাইপো সান্টু রহমান হামলাকারী সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সান্টু হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের বর্ণনা দেন।
সান্টু জানান, তিনি ও তার চাচা ময়েজ তালুকদার ওই মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে যান। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়। তার চাচা যে কাতারে নামাজ আদায় করছিলেন, একই কাতারে হামলাকারী ওই শিক্ষার্থী ছিলেন। নামাজের দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে যাওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থীর কাছে থাকা বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। অন্যরা আহত হন। সান্টু অন্য কাতারে থাকায় আহত হননি।
সান্টু রহমান আরো জানান, নামাজ আদায়ের শুরুতে অপরিচিত ওই যুবককে দেখে মসুল্লিরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। মুসল্লিদের প্রশ্নের জবাবে হামলাকারী যুবক বলেছিলেন- তার বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়। তিনি রাজশাহী পলিটেকনিকে পড়েন। এ এলাকায় এক বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে এসেছেন। তবে সান্টু ওই যুবকের নাম বলতে পারেনি।
সান্টু জানান, যুবকের বয়স ২২/২৩ বছর হবে। জিন্সের প্যান্ট পরা যুবকের গায়ে ছিল কালো রঙের জ্যাকেট। সেই জ্যাকেটের ভেতরে বোমাটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে তারা ধারণা করা হচ্ছে।
এ হামলায় আহত ময়েজ তালুকদার (৪০), আবদুল আজিজ (৩৬) ও নয়ন (১২) কে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ময়েজ ও আজিজের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, লাশ এখনো মসজিদের ভেতরে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মসজিদে তল্লাশি চালাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।