কমলগঞ্জে ভোটের মাঠে ভাড়ায় খাটছে মহিলা কর্মী
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শীতের তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আর ভোটযুদ্ধের মাঠে প্রার্থীদের আরেক প্রতিদ্বন্ধী হয়ে উঠেছে জাঁকিয়ে বসা শীত। শীতের হিমেল হাওয়া ভোটের ময়দানে থাকা প্রার্থীরা লড়াইয়ের শুরুতেই অদৃশ্য প্রতিদ্বন্ধী হয়ে উঠেছে। শীতের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন প্রার্থী ও তার সমর্থক কর্মীরা। এহেন অবস্থায় পার করেছেন কঠিন সময়। কমলগঞ্জের নির্বাচনী পৌর এলাকাগুলোতে ভোটের লড়াই জমজমাট হয়ে উঠেছে। চলছে পোস্টার সাটানো ও মাইকে প্রচার যুদ্ধ। সঙ্গে নানামুখী কৌশলী গণসংযোগ। এই প্রচার ও গণসংযোগে প্রার্থীদের পক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন মহিলা কর্মীরা ও। সাধারণ গৃহিনী থেকে শুরু করে, নিন্ম আয়ের মহিলারা প্রার্থীর পক্ষে লিফলেট নিয়ে ছুটছেন এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজার সবখানে। এসব মহিলা কর্মীর মধ্যে বেশির ভাগই আবার দলীয় কর্মী বা প্রার্থীর স্বজন, বন্ধু নন। তারা কাজ করছেন বাড়তি আয়ের জন্য। ভোট অনেক নিম্ন আয়ের মহিলাদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মহিলা কর্মীর বেশির ভাগই কাজ করছেন আওয়ামী যুবলীগ থেকে পদত্যাগকারী ও সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া হাবিব বিপ্লব এর (নারিকেল গাছ মার্কার) পক্ষে কাজ করছেন ‘ভোটের আয়’ হিসেবে। প্রতি মহিলা কর্মী সকাল ১০টা থেকে দুপুর এবং বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে পচ্ছেন ২শ থেকে আড়াই শ’ টাকা। এক্ষেত্রে নিম্নআয়ের মহিলারা বেশি সময় পার করছেন প্রার্থীদের পক্ষে। তবে প্রার্থীদের দলীয় কর্মী বা স্বজন বন্ধুরাও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, গৃহকর্মীর কাজ ছেড়ে অনেকে বহু মহিলা কর্মী প্রার্থীর পক্ষে লিফলেট বিতরণসহ ভোট প্রার্থনা করছেন। আর প্রার্থীরাও বসে নেই। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত পার করেছেন ভোটের ক্যাম্পেইনে। প্রার্থীদের মুখে ফুটছে নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে কথার ফুলঝুরি। আর কে কথা রেখেছে আর কে রাখেনি তা নিয়েই প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা পরস্পরের বিপক্ষে কথামালা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। আর প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলা কর্মীরা।