ফতুল্লায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
ডেস্ক রিপোর্টঃ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটিতে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ৫ শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, পঞ্চবটি ট্রাক স্ট্যান্ডের জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আমিনুল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টায় মাসদাইর থেকে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশায় চড়ে পঞ্চবটি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পুলিশ লাইন থেকে ওই অটোতে উঠেন পুলিশের কনস্টেবল আজাদ। রিকশায় ওই সময়ে দুইজন নারী বসা ছিল। অটোয় বসা নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমিনুলকে মারধর করেন আজাদ।
ওই খবর পঞ্চবটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে ট্রাক স্ট্যান্ডের শ্রমিকেরা জড়ো হন। সেখানে অটো রিকশা পৌঁছালে আজাদকে মারধর করে স্ট্যান্ডের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ আসলে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। প্রায় আধাঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগান ও পিস্তলের গুলি ছুড়ে।
সংঘর্ষে ফতুল্লা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই গোলাম মোস্তফা, এসআই কাদির, কনস্টেবল আজাদ শ্রমিকদের ছোড়া ইট পাটকেলে আহত হন। এছাড়া পুলিশের গুলিতে আলামিন, জাকির, এনায়েত, হাসান, ফারুক নামে ৫ শ্রমিক হাত-পা ও পেটে গুলিবিদ্ধসহ লাঠিচার্জ ও ইটপাটকেলের ঢিলে অন্তত ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ট্রাক স্ট্যান্ডের এক শ্রমিক নেতার মধ্যে বাকবিতন্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনায় শ্রমিকেরা পুলিশ সদস্যকে মারধর করলে পুলিশ বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশ পরে লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষ আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছে।