মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ইউসুফ কারাগারে
ডেস্ক রিপোর্টঃ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার বন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী ওরফে এ কে এম ইউসুফ আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মো. ইউসুফ আলী ওরফে এ কে এম ইউসুফ আলমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রোববার তদন্ত সংস্থা মো. ইউসুফ আলীকে হাজির করলে ট্রাইব্যুনাল কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের জ্যেষ্ঠ সরকারি কৌঁসুলি হায়দার আলী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মো. ইউসুফ আলী ওরফে এ কে এম ইউসুফ আলমকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ইউসুফ বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি জামালপুরের চাঁনপুর হরিণাকান্দা গ্রামে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর বাহিনীতে যোগ দিয়ে তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার সুবর্ণখিলা এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকতা ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ইউসুফ ছাত্র ছিলেন। ওই সময় তিনি আল বদর বাহিনীতে যোগ দিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার সুবর্ণখিলা এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালান। প্রাথমিক তদন্তে এসব ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
গত ১ এপ্রিল তিনিসহ জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার আটজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা হয়। তিনি ওই মামলার তিন নম্বর আসামি। এই আটজনকে গ্রেপ্তার করতে গত ২২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানানো হলে ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে ৯ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ওই মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ কে এম ইউসুফ আলম ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট বন বিভাগে ফরেস্টার পদে যোগ দেন। ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে ডেপুটি রেঞ্জার হন। কিছু দিন আগে তিনি পদোন্নতি পেয়ে শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা হিসেবে সেখানে যান।