এবার ডেইলি মেইলে উঠে এসেছে বাংলাদেশের শিশুশ্রমের এক মর্মস্পর্শী চিত্র
ডেস্ক রিপোর্টঃ ব্রিটেনের বহুল প্রচারিত ডেইলি মেইলে এবার উঠে এসেছে বাংলাদেশের পোশাক খাতে কর্মরত অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের শ্রমের এক মর্মস্পর্শী চিত্র। পত্রিকাটির সোমবারের অনলাইন সংস্করণে এটিকে প্রধান প্রতিবেদন করা হয়েছে। ১৭টি ছবি দিয়ে সাজানো প্রতিবেদটিতে বলা হয়, পশ্চিমাদের জন্য নামমাত্র টাকায় এসব ‘সোয়েটশপে’ মানবেতর পরিবেশ কাজ করছে বাংলাদেশের শিশুরা।
‘সোয়েটশপ’ বলা হয় সেসব কারখানাকে যেখানে নামমাত্র মজুরিতে শ্রমিকদের দিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের নিবন্ধিত পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও অনিবন্ধিত দোকানগুলোতে তার ছোয়া লাগনি। এসব দোকান সাধারণ সাব-কনট্রাক্ট নিয়ে কাজ করে থাকে। পুরনো ঢাকায় এ ধরনের কাজের চিত্র ধারণ করেছেন চিত্র সাংবাদিক ক্লডিয়া মন্টেসানো কাসিলাস।
এসব দোকানে ১৫টি মত সুইং মেশিন রয়েছে। কিন্তু জরুরি বহির্গমন, অগ্নি নির্বাপনসহ কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। স্কুলে যাবার পরিবর্তে এসব কারখানায় শিশুরা এমব্রয়ডারি ও সেলাইয়ের কাজ করে থাকে। এসব কারখানায় সপ্তাহে ছয় থেকে সাড়ে ছয়দিন কাজ করে শিশুরা পায় ৮০০ থেকে ১৯৫০ টাকার মত। বাংলাদেশের ১ কোটি থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু শিশুশ্রমে জড়িত বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
এখানে শ্রমিকরা যে বেতন পান তা সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম বেতন ৫৩০০ টাকার অনেক কম। বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বছরে পোশাক রপ্তানি করে আয় হয় ২৫০০ কোটি ডলার। এ খাতে জড়িত ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক, যাদের বেশিরভাগই নারী। পোশাক কারখানায় প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনায় বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে। সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে সাভারের রানা প্লাজায়, যাতে মারা যায় অন্তত ১১৩৬ জন শ্রমিক।