কবর থেকে জাপানি নারীর মরদেহ উত্তোলন
ডেস্ক রিপোর্টঃ ময়নাতদন্তের জন্য জাপানি নারী হিরোয়ি মিয়াতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর সিটি করপোরেশন কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল কুদ্দুস জানান, সকালে একজন জেলা নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে জাপানি নারীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মিয়াতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেয় আদালত।
জাপানি নারীকে হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানার অপারেশন অফিসার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে চারজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিরোয়ি মিয়েতা উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে ১৩/বি নম্বর সড়কের ৮ নম্বর হোল্ডিংয়ে সিটি হোমস নামে একটি ডরমেটরিতে থাকতেন। গত আগস্ট মাসে ওই নারীকে সেখান থেকে সরিয়ে ভাটারা থানা এলাকার একটি বাসায় রাখেন তার ব্যবসায়িক পার্টনাররা।
হিরোয়ি প্রতিদিন জাপানে ফোন করে মাকে তার অবস্থার কথা জানান। কিন্তু ২৬ অক্টোবর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে মেয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার মা বিষয়টি ঢাকায় জাপান দূতাবাসকে জানান।
জাপান দূতাবাসের পক্ষে ভাইস কাউন্সিলর কুসুকি মাৎসুনা প্রথমে বিষয়টি থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান। পরে ১৯ নভেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় হিরোয়ি নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাধারণ ডায়েরির পরই পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। ঘটনার অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রায় ৪ দিন পর প্রযুক্তিগত তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় ওই জাপানি নারীকে খুন করার পর মরদেহ পুঁতে রাখা হয়েছে।