২৭ নভেম্বর মান্ডপ প্রাঙ্গনে মনিপুরী মেয়ে হবে খঞ্জনা পাখী
কমলগঞ্জে রাস উৎসব : লাখো ভক্তের পদচারনা মুখরিত
বিশ্বজিৎ রায়ঃ কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বছর ঘুরে আসছে অন্যতম বিশ্বনন্দিত সাংস্কৃতিক ধারক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মণিপুরী সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক উৎসব ‘মহারাসলীলা’। মণিপুরী মহারাসোৎসব সিলেট বিভাগের অন্যতম প্রধান ও বৃহত্তম লোক-নৃতাত্ত্বিক উৎসব। বিপুল আনন্দ উদ্দীপনার এই দিনটির জন্য শুধু মণিপুরীরাই নয়, স্থানীয় বাঙালীসহ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের লোকজন বছরব্যাপী প্রতীক্ষায় থাকেন।
মনিপুরী সম্প্রদায়ের পূণ্যস্থাণ হিসাবে বিবেচিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রতি বছর কার্তিকী পূর্ণিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় এ উৎসব । প্রায় এক মাস আগ থেকেই চলছে রাসোৎসবের প্রস্তুতি। মনিপুরী সম্প্রদায়ের বাড়ি বাড়ি কুমারী কিশোরদের রাস লীলায় অংশগ্রহণ করার জন্যে নৃত্য ও সংগীতের তালিম নেয়ার ধুম পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তাবৎ বাড়িতে রাসধারী ও রাস লীলার উস্তাদ এনে শিক্ষা দেয়ার রেওয়াজ প্রচলিত। আনুমানিক ৪০/৫০ জন কিংবা ততোধিক সংখ্যার কিশোরী এ রাস লীলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। রাতভর রাধাকৃষ্ণের প্রণয়োপাখ্যানের এই রাসলীলা উপভোগ করতে সারাদেশ থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার ভক্ত। মনিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজনদেরও পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে গোটা উৎসব অঙ্গন। বংশ পরম্পরায় নান্দনিকতার পূজারী মণিপুরীদের মেলবন্ধন এই রাস উৎসব। এটি এখন জাতিধর্ম নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। এটি সিলেট বিভাগের মধ্যে ব্যতিক্রমী আয়োজন।
মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ,শিশু-কিশোর ,কবি-সাহিত্যিক ,সাংবাদিক ,দেশী-বিদেশী পর্যটক, বরেণ্য জ্ঞাণী-গুণী লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার দর্শনার্থীকে রাতভর মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে মনিপুরী শিশু নৃত্যশিল্পীদের সুনিপুন নৃত্যাভিনয় । উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের এই একটি রাত্রির জন্য রাসোৎসবের জন্য তৈরী সাদাকাগজের নকশায় সজ্জিত মন্ডপগুলো হয়ে উঠে লাখো মানুষের মিলনতীর্থ। উৎসব উপলক্ষ্যে বিশাল এলাক জুড়ে বসে মেলা। মেলায় কৃষি সরঞ্জাম, মাটির তৈরী সামগ্রী, ঘর কন্যার সামগ্রীসহ নানা দ্রব্যের পসরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতাদের দোকানগুলোতে সারারাত ধরে চলবে কেনা বেচা। রাসলীলা উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় খৈ, মুড়ি, বাতাসা, ছোটদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মণিপুরী পোশাক-পরিচ্ছদ, ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ ও প্রসাধনী, শ্রীকৃষ্ণের ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির ছবিসহ বাহারি পণ্য শোভা পায়। এ ছাড়া মাধবপুর ললিতকলা একাডেমির সামনে বসে মণিপুরী সম্প্রদায়ের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে বইপত্রের কয়েকটি স্টল। অন্যদিকে আদমপুরের মেলায়ও মনিপুরীদের তৈরী সামগ্রীর দোকান গুলোতে থাকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
অন্যন্য বছরের ন্যায় এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজন ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আগমী ২৭শে নভেম্বর বুধবার অনুষ্টিত হবে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের আদমপুর ও মাধবপুরে মনিপুরী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী প্রধান ধর্মীয় অনুষ্টান মহারাসলীলা উৎসব। মাধবপুরে এবছর রাসোৎসবের ১৭৩তম বার্ষিকী। আর আদমপুরে ৩০তম বার্ষিকী।
দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকাল ১১টায় শ্রীকৃষ্ণের রাখাল নৃত্য (শ্রীকৃষ্ণের গোষ্টলীলা)। সন্ধ্যায় গুণীজন সম্বর্ধনা ও আলোচনা সভা, এবং ভারত ও বাংলদেশের শিল্পীদের যৌথ অংশগ্রহণে মার্শাল আর্ট এবং মনিপুরী নৃত্যের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান । রাত ১১টায় অনুষ্টিত হবে ধর্মীয় পালাগান। অতঃপর রাত সাড়ে এগারোটা উভয় এলাকার মন্ডপে শুরু হবে মূল অনুষ্টান ‘মহারাসলীলা’। বৃহঃস্পতিবার সূর্যোদয়ের পর এই অনুষ্টানের ঘটবে পরিসমাপ্তি ;তারপর সবাই ফিরে যাবে যার যার নিজ গন্তব্যে।
আদমপুর মহারাস উদযাপন কমিটির আহবায়ক, বীরেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন এবারের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান বিচারপতি মিঃ সুরেন্দ্র কুমার সিংহ, বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ শাহাবউদ্দিন এমপি, আব্দুল মতিন এমপি, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, উপজেলা নির্বহী অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এবারও আয়োজকরা আশা করছেন অর্ধ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে মহারাসলীলা অনুষ্ঠানে।
রাসলীলার ইতিহাস
উল্লেখ্য যে, রাস শব্দটি রস শব্দের বিবর্তিত রূপ বলে অনুমান করা হয়। “রাসলীলা আসলে পুরুষের আরাধনা। বৈষ্ণব সাহিত্যের শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীমতি রাধিকার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনকালের বিভিন্ন চিত্র এই রাসলীলায় নৃত্যগীতাভিনয় এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। দুইটি পর্বে বিভক্ত এই রাসলীলার একটি পর্ব ‘রাখালনৃত্য’: অন্য পর্ব হলো‘রাসনৃত্য’ ।
রাখাল নৃত্য সাধারণ দিনের বেলায় অর্থাৎ সূর্যাস্তের আগেই অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্টানে পরনে থাকে ধূতি, মাথায় ময়ূর, পালকের মুকুট, কপালে চন্দ্রের তিলক, গলায় সোনার মালা, পায়ে নূপুর বেঁধে অর্ধ শতাধিক শিশু শিল্পীরা রাখাল সাজে সজ্জিত হয়ে একটি মাঠে সমবেত হয়। এরপর বাঁশি হাতে বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করতে করতে শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অনূকরণে একজন শিশু শিল্পী মাঠে প্রবেশ করে। অনেকক্ষণ ধরে চলে এই নৃত্য গীতি।
রাতে শুরু হয় ‘রাসনৃত্য’। শুরুতেই রাসধারীদের অপূর্ব মৃদঙ্গ নৃত্য পরিবেশন শেষে প্রদীপ হাতে নৃত্যের তালে তালে সাজানো মঞ্চে প্রবেশ করেন একজন নৃত্যশিল্পী । তখন বাদ্যের তালে তালে পরিবেশিত হয় মনিপুরী বন্দনা সঙ্গীত। অতঃপর শ্রীকৃষ্ণ রূপধারী বাঁশী হাতে মাথায় কারুকার্য খচিত ময়ুর পুচ্ছধারী এক কিশোর নৃত্য শিল্পী মঞ্চে প্রবেশ করেন। তার বাঁশির সুর শুনে ব্রজ গোপী পরিবেষ্টিত হয়ে শ্রী রাধা মঞ্চে আগমন। এরপর একে এক শুরু হয় সুবর্ণ কংকন পরিহিতা মনিপুরী লোক দুহিতাদের মণিপুরী নৃত্যের ধ্রুপদ ভঙ্গিমায় রাধাকৃষ্ণের রাসনৃত্য প্রদর্শন। ভোরের সূর্যোদয় পর্যন্ত চলে এই নৃত্য।
হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী, দ্বাপর যুগে ব্রজধামে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণই এই রাসলীলার সর্বপ্রথম প্রবর্তন করেন । কিন্তু বর্তমানে মনিপুরীরা যে রাস উৎসব উদযাপন করেন তার প্রচারক হলেন প্রখ্যাত মণিপুরী রাজা ভাগ্যচন্দ্র। মণিপুরীদের প্রথম রাসলীলা বা রাসলীলানুসরণ অনুষ্ঠান হয় তাদের আদিভূমি মণিপুরে ১৭৬৯ খৃস্টাব্দে। গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মমতে মোহবিষ্ট রাজা ভাগ্যচন্দ্র স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে কন্যা লাইরোবিকে রাধার ভূমিকায় অবতীর্ণ করে সেদিন যে রাস অনুষ্ঠানটির সূচনা করেছিলেন মনিপুরী সেই ধর্ম-সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতায় কোন ছেদ পড়েনি। মণিপুর যুদ্ধের কারণে স্ব-ভূমি থেকে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া মণিপুরীরা আজও তাদের বংশপরম্পরায় বিভিন্ন ধর্ম-সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে প্রতিবছর রাসপূর্ণিমার তিথিতে তাদের রাস উৎসব অব্যাহত রেখেছেন।
আমাদের দেশে এই উৎসবের ইতিহাস দেড়শতাধিক বছর পূর্বের। বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অষ্টাদশ শতকের শুরুতে বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলায় বসতি স্থাপনকারী মৈতৈ ও বিষ্ণুপ্রিয়া সম্প্রদায়ের মণিপুরীরা বাংলা ১২৮৯ সন নাগাদ ১৮৪২ খ্রীষ্টাব্দের শারদীয় পুর্ণিমা তিথিতে তৎকালীন মৌলবীবাজার মহকুমার কমললগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর জোড়ামন্ডপে সর্বপ্রথম তাদের ধর্ম-সংস্কৃতির প্রধান উৎসব রাসলীলা উদযাপনের শুভসূচনা করে। প্রথম সেই রাসলীলানুকরনে বৃন্দার ভুমিকায় ছিলেন রাণী চ্যাটার্জ্জী, রাধা ও কৃষ্ণের ভুমিকায় ছিলেন থাম্পাল সিনহা ও বাবুল সিংহ। প্রাথমিক অবস্থায় কেবল রাত্রিতে শারদীয় রাস অনুষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে দিবাভাগে গোষ্ঠলীলা যোগ করা হয়। এরপর শুধুমাত্র ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্যতিত প্রতি বৎসরই মাধবপুরের জোড়া মন্ডপে বিষ্ণুপ্রিয়া সম্প্রদায়ের মণিপুরীরা রাসোৎসব উদযাপন করে আসছে।
পাশাপাশি আদমপুর এলাকার সানাঠাকুর মন্ডপেও ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিবছর মণিপুরী মৈতৈ সম্প্রদায়ের উদ্যোগে রাসলীলা উদযাপন হচ্ছে। বংশ পরম্পরায় নান্দনিকতার পূজারী মণিপুরীদের মেলবন্ধন এই রাসোৎসবের আকর্ষণ সময়ের সাথে যেমন বেড়েছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উৎসবে দর্শনার্থীর সমাগম।
উল্লেখ্য যে, মৈথিলী ও ব্রজবুলি ভাষার বিভিন্ন পদের মণিপুরী সঙ্গীতের স্বকীয়তা এবং ধ্রুপদী ধারার এই মণিপুরীদের গীতিনৃত্যধারা শুধু কমলগঞ্জের নয়, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বের নৃত্যকলার মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। ১৯২৬ সালে সিলেটের মাছিমপুরে মনিপুরী নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশিত রাসনৃত্য উপভোগ করে মুগ্ধ হয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরে তিনি তার শান্তি নিকেতনে কমলগঞ্জের মনিপুরী নৃত্য শিক্ষক গুরু নীলেশ্বর মুখার্জীকে নিয়ে গিয়ে প্রবর্তন করেছিলেন মনিপুরী নৃত্য শিক্ষক।
কিভাবে আসবেন , কোথায় থাকবেন
উৎসবের আগের দিন ঢাকা থেকে ট্রেনে অথবা বাসযোগে আসতে পারেন। কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে জয়ন্তিকা কিংবা পারাবত ট্রেনে আসলে সরাসরি ভানুগাছ নামতে পারবেন। অন্যন্য ট্রেন আসলে নামতে হবে শ্রীমঙ্গল অথবা শমসের নগরে। এছাড়া ঢাকার ফকিরেরপুল ও সায়েদাবাদ থেকে শ্যামলী, হানিফ ও মৌলবীবাজার সিটি পরিবহনের বাস নিয়মিত সার্ভিস দিচ্ছে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত। তারপর বাস কিংবা অটোরিক্সা যোগে ২০/২৫ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করলেই পাবেন ভানুগাছ বা কমলগঞ্জ উপজেলা সদর। ভানুগাছ চৌমুহনা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সড়ক ধরে ৩ কিলোমিটার গেলেই মাধবপুর জোড়ামন্ডপ। অন্যদিকে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনী থেকে কমলগঞ্জ-কুরমা সড়ক ধরে সোজা ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে আদমপুরের সানামন্ডপ। এসব রাস্তায় নিয়মিত বাস, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ও রিক্সা চলাচল করে। ভাড়াও সাধ্যের ভিতরে।
ভোরে পৌঁছাতে পারলে থাকার জন্য হোটেল ভাড়া করার দরকার হবেনা। অনুষ্ঠান চলে সকাল থেকে রাতভর কাজেই পুরো দিনটা অনুষ্ঠান স্থলেই কাটিয়ে দেয়া যাবে। আর থাকতে চাইলে ভানুগাছ এবং শমসেরনগর কিংবা শ্রীমংগলে থাকতে পারেন। মাঝারী এবং সস্তা দ’ুমানেরই নানান রেস্টহাউজ ও আবাসিক হোটেল আছে সেখানে। ভানুগাছ বাজার/ আদমপুর বাজারে খাবারের জন্য হোটেল আছে। এছাড়া রাসমেলাতে কিছু সাময়িক রেস্টুরেন্ট থাকে, খাওয়ার কাজটা আপনি সেগুলোতেও সেরে নিতে পারেন। আরেকটা কথা , এই সময়ে কমলগঞ্জে শীতের প্রকোপ দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় একটু বেশী। তাই শীতের কাপড় সঙ্গে আনতে ভূলবেননা অবশ্যই।