২২ অক্টোবর বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

Labour-Party-anivarsaryআগামী ২২ অক্টোবর ২০১৫ বাংলাদেশের ঐতিয্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সপ্তাহব্যাপী কর্মসুচী গ্রহন করেছে। কর্মসুচীর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা, আলোচনা সভা ও সাংগঠনিক সপ্তাহ পালন। এ উপলক্ষ্যে দেশবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী।
১৯৭৪ সালে শ্রমজীবি মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে লালবাহীনি, রক্ষীবাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লুটপাট, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁতে জাতীয়নেতা মরহুম মাওলানা আবদুল মতীনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ লেবার পার্টি। প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী শেখ মুজিব মাত্র ১৩ মিনিটের সংসদে রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করে লেবার পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কয়েম করে। ১৯৭৭ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গনতন্ত্র চর্চার সুযোগ দিলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১৯৭৭ সালের ২২ অক্টোবর মাওলানা আবদুল মতীনের নেতৃত্বে পূর্নঃজীবন ফিরে পায়। পরে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠিত হলে- মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ন্যাপ, শাহ আজিজুর রহমানের মুসলিম লীগ, বিচারপতি আবদুস সাত্তারের জাগদল, মাওলানা মতীনের লেবার পার্টি, কাজী জাফরের ইউপিপি জোটের রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে অংশ নেয়।
মাওলানা মতীনের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতৃত্বে আসেন ডাঃ মোস্তফিজুর রহমান ইরান। তিনি লেবার পার্টিকে সাংগঠনিক ভাবে গনমুখী ও শক্তিশালী করতে ব্যাপক কর্মসুচী গ্রহন করে বিভিন্ন জেলা-মহানগরে কার্যক্রম ছড়িয়ে দেন। তার নেতৃত্বে ২০০৮ সালে অসাংবিধানিক জরুরী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে ব্যাপক কর্মসুচী পালিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী চেতনায় সমমনাদল হিসাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা ও অংশ গ্রহন করে। ২০১২ সালে ১৮ দলীয় জোট (বর্তমানে ২০ দল) গঠিত হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি অন্যতম শরিক হিসাবে জোটের রাজনীতিতে অংশ নেয়। বর্তমান সরকারের জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া আহুত বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, হরতাল, অবরোধসহ সকল কর্মসুচীতে লেবার পার্টি সক্রিয় ভাবে রাজপথে ভুমিকা পালন করছে। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান সহ পার্টি অসংখ্য নেতা-কর্মী চলমান আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে জেল,জুলুম, হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখছে। লেবার পার্টির নবীন প্রবীনদের সমন্বয়ে ভাতৃত্বপূর্ন নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে ওমর-ই সাম্যবাদের আলোকে শোষনমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক কল্যান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যোগ্য ও আর্দশ নাগরিক সৃষ্ঠিতে কাজ করছে। শুধু ক্ষমতার হাত বদল নয়, খাই খাই লুটপাটের রাজনীতির বাইরে অর্থবহ আদর্শিক পরিবর্তন চায় বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
কর্মসুচীঃ
২২ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও মরহুম আবদুর মতীনের মাগফেরাত কামনায় দোয়া।
২৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর কেক কাটা অনুষ্ঠান।
২৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসকাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান