জৈন্তাপুরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের স্কুল ছাত্রী ৩মাস থেকে নিখোঁজ
মায়ের দাবী অপহরন, থানায় অভিযোগ দায়ের
মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রতিষ্ঠিত আশ্রায়ন প্রকল্পের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী জোসনা আক্তার(১৩) তিন মাস থেকে নিখোঁজ রয়েছে। অবে তার মায়ের দাবী তাকে অপহরন করা হয়েছে এবং এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত তহবিল হতে প্রতিষ্ঠিত আশ্রায়ন প্রকল্প আসামপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্পের ৯নং ব্র্যাকের ৮নং রুমের বাসীন্ধা স্বামী পরিত্যাক্তা মমতাজ বেগমের মেয়ে ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী জোসনা আক্তার(১৩) কে বিগত ১১জুলাই সকাল ৭টায় অপহরন করে একই প্রকল্প এলাকার ফখরুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া(২২)। অপহরনের ৩মাস অতিবাহিত হলেও মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে ২১ অক্টোবর দুপুর ১টায় মমতাজ বেগম বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে একমাত্র মেয়ে জোসনা আক্তার সন্ধানে ইউপি চেয়ারম্যান, প্রকল্প সভাপতি ও এলাকার মুরব্বীদের ধারে ধারে ঘুরে কোন সমাধান না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে ২১অক্টোবর দুপুর ১টায় মমতাজ বেগম বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। মমতাজ বেগম আর জানান- তার মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার পর প্রকল্পের সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী মুরব্বীরা মিলে আসামপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্পের বাজার সংলগ্ন মসজিদের ইমামের মাধ্যমে জোর পূর্বক বিয়ে পড়িয়ে দেন শুনেছি। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও এখনো মেয়ের কোন সন্ধান পাচ্ছেন না। এনিয়ে মুরব্বিদের কাছে বিচার প্রার্থী হলে দীর্ঘ ৩মাস ঘুরিয়ে বলেন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর তোমার মেয়ে ফিরত পাবে। এছাড়া থানা পুলিশ কোন প্রকার মামলা না করার জন্য নিষেধ করেন। থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে আশ্রায়ন প্রকল্প হতে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
এব্যপারে জানান- অপহরনের কোন ঘটনা আশ্রায়ন এলাকায় ঘটেনি। একটি মেয়েকে নিয়ে কিছু একটা ঘটেছে শুনেছি, তা আশ্রায়ন প্রকল্পের সভাপতি সহ স্থানীয় কয়েক জনের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এবিষয়ে প্রকল্প সভাপতি আব্দুল জলিল- বলেন মেয়ে অপহরনের ঘটনা ঘটেনি। আর বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করছি।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবীর জানান- আমি পূজার কারনে থানার বাহিরে অবস্থান করেছি। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।