সেই লন্ডনী আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সেই আলোচিত আব্দুল করিম নিজ এলাকার সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট জেলা প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলণ করে এমন অভিযোগ করেছেন বিয়ানীবাজার উপজেলার পাতন গ্রামের বাসিন্দা হাজী আব্দুল লতিফের ছেলে এএম রশিদ।
তিনি আব্দুল করিমের অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকারে গ্রামের সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এমনকি আব্দুল করিমের হয়রানির শিকার তিনি নিজেও। রশিদ জানান- সেই বহুল আলোচিত লন্ডন প্রবাসী আব্দুল করিম, ২০০৬ সালে তিন পুত্রবধুকে আটকে রেখে নিপিরণের অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। এর পর তর অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে জানাজানি হয়ে যায়। তাকে অনেকেই লম্পট ও কুলঙ্গার বলে আখ্যায়িত করেন।
এমএ রশিদ জানান- তার পিতা আহী আব্দুল লতিফ শারিরিক সমস্যার কারণে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারেন নাই। তাই তিনি পিতার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করছেন।
রশিদ লিখিত বক্তব্যে আরো জানান- তার পিতার পৈত্রিক ভূমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন আব্দুল করিম। আব্দুল করিম তাদের কেউ নয় জানিয়ে তিনি বলেন- ‘আমার দাদা হাজী আব্দুল মালিক ছিলেন ব্রিটিশ রয়াল মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত। নেভিতে কর্মরত থাকায় তিনি অনেক দেশ ঘুরেছেন। এক পর্যায়ে আইরিশ শিশু আব্দুল করিমকে দেশে নিয়ে আসেন। আমার দাদী আলিফজান বিবি অনেক কষ্ট করে লালন পালন করেন।’
এলাকার মুরব্বিদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন- ‘আব্দুল করিমের মায়ের কোনো বৈধ ঠিকানা নেই। আর মালিক মহল নির্মাণ করা হয় আমার দাদার নামে। পরবর্তীতে ওই মালিক মহলে তিনি বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচানা করেন। তখন মালিক মহলের নামও সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করে।’
তিনি জানান, আব্দুল করিম একজন ব্রিটিশ সরকারের গরিব ভান্ডের ভাতা গ্রহণকারী। আব্দুল করিম ৩৮ লোকিন স্ট্রিট লন্ডন E1 OAA সরকারি কলনিতে বসবাস করে থাকেন। এমন গরিব মানুষ কীভাবে বছরের পর বছর বাংলাদেশে থাকে বসবাস করে এবং উচ্চবিলাসী জীবন-যাপন করে এমন প্রশ্ন রেখে এমএ রশিদ বলেন- ‘আমার সন্দেহ হয় তার অবৈধ অর্থের উৎস রয়েছে। অবৈধ অর্থের জোরে তিনি দেশে প্রভাব বিস্তার করেছেন।’
এলাকার লোকজনের বরাত দিয়ে রশিদ আরো জানান- যৌন ক্ষমতাহীন ছেলেকে পর পর তিন বিয়ে করান আব্দুল করিম। এর পর পুত্রবধূরা আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনি কারাভোগও করেছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন শুরু করেছেন আব্দুল করিম। কিন্তু গরিব অসহায় তিনটি মেয়ে এখনও কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
লিখিত বক্তব্যে রশিদ বলেন, ‘আব্দুল করিম আমাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে বিয়ানীবাজার থানায় মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে আমি, আমার পিতাসহ পাতন গ্রামের বাসিন্দা আলি হোসেন, কবির হোসেন ও দুলাল মিয়া অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে গুলি করার হুমকি দিয়েছি। আব্দুল করিম আইনের কাছে আমাদের খারাপ ও সন্ত্রাসী বানিয়ে ফায়দা লুটের চেষ্টা করছেন।’
্িব্রটিশ সরকারের কাছে খারাপ প্রকৃতির লোকজনের আলাদা প্রোফাইল থাকে জানিয়ে এমএ রশিদ বলেন- সেখানকার কমিউনিনিট বসবাসকারী যে কেউ তার প্রতিবেশী কোন প্রকৃতির তা সহজেই সনাক্ত করতে পারে। ঠিক এমন সিস্টম বাংলাদেশ চালু করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আলী হোসেন, কবির হোসেন, দুলাল উদ্দিন।