চুনারুঘাটে রেস্টুরেন্ট ও বেকারিতে ভ্রাম্যমান আদালতের ১হাজার ৩শ’ টাকা জরিমানা
এম এস জিলানী আখনজী,চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকেঃ চুনারুঘাটে রেস্টুরেন্ট ও বেকারিতে তৈরী হচ্ছে নোংরা পরিবেশে অস্বাস্থ্যাকর খাবার বিক্রয় হচ্ছে দেদারছে। বাজারগুলোর আশে-পাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ছোট বড় অনেক রেস্টুরেন্ট ও বেকারি। এসমস্ত বেকারি ও রেস্টুরেন্টগুলোতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যাকর পরিবেশে হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু খাবার। এ খাবার তৈরি করতে তারা ব্যবহার করছে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক দ্রব্য যা মানব দেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। বৈধভাবে ১টি বেকারি পরিচালনা করতে গেলে দরকার হয় ট্রেড লাইসেন্স,প্রিমিসেস লাইসেন্স,বিএসটিআই অনুমোদন লাইসেন্স ও সরকারি বিধি নিষেধ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ রেস্টুরেন্ট ও বেকারির নেই সরকারি বৈধ মোতাবেক কোন কাগজপত্র। বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন রকম খাবারের মোড়কে বিএসটিআই সিল ব্যবহার করে দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যচ্ছে অনেক রেস্টুরেন্ট ও বেকারির মালিক গন। শুধু বিএসটিআই নয় সরকারি মূল কোনো কাগজপত্র প্রয়োজন মনে করছেন না অনেকেই। নোংরা পরিবেশে বেকারিগুলোতে তৈরি হচ্ছে কেক, পাউরুটি, বিস্কুটসহ বিভিন্ন রকমের খাবার। এসমস্ত খাবার যখন ট্রেগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয় তখন দেখাযায় মশা-মাছিসহ বিভিন্ন প্রকারের পোখা-মাকড় ভনভন করে চাটাচ্ছে আর উরছে আবার মাটিতে মাটির ওপর ফেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার প্যাকেট করা হচ্ছে। এসমস্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রতিরোধ করার জন্য কেউ নেই। জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের আমুরোড বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৪ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ হাজার ৩ শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ঘটিকার দিকে চুনারুঘাট আমুরোড বাজারে বেকারি ও রেস্টুরেন্টগুলোর অস্বাস্থ্যাকর খাবার বিক্রয় করার দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৪ ব্যাবসায়িকে নগদ ১হাজার ৩শ” টাকা জরিমানা আদায় করেন ।