সিলেট ট্রাফিক পুলিশের টু-স্লিপ রহস্য ফাস
পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে টু-স্লিপ নামে চাদঁবাজীর অভিযোগ
ফখরুল ইসলামঃ সিলেটে অভিনব কায়দায় চাদাবাজি করছে ট্রাফিক পুলিশ। মহানগর ট্রাফিকের পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন চাদঁবাজীর ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে পুলিশ কমিশনার বরাবরে গত ১৫ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সিএনজি চালক সেলিম । অভিযোগে প্রকাশ, গত ০১/১০/২০১৫ইং সন্ধা ৭ ঘটিকার সময় তার ভাড়া চালিত(আবেদিত) সিএনজি অটোরিক্সাটি নিয়ে আম্বরখানা হোটেল পলাশের সামনে আসামাত্র এস.এম.পির ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা গাড়িটি আটক করেন। আটকের পর গাড়িটি অবমুক্তির জন্য উনাকে টু-স্লিপ নামে একটি রশিদ প্রদান করে পর দিন যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর দুই দিন এস.এম.পির উপশহরস্থ ট্রাফিক অফিসে যোগাযোগ করেও গাড়িটি অবমুক্ত করতে পারেন নি তিনি। সর্বশেষ গত ০৪/১০/১৫ইং বিকাল ৩ ঘটিকার সময় এস.এম.পির ট্রাফিক ইন্সপেক্টার শহিদুল ইসলামের স্মরনাপন্ন্ হলে প্রথমে তিনি মামলার ফি হিসেবে ১০হাজার টাকা লাগবে বলে জানান। পরে অনেক দর কষা কষির একপর্যায়ে তিনি ৫০০০(পাচঁ)হাজার টাকা মামলার ফিস এবং ৫০০(পাচঁ শত) টাকা রেকার বিল দিলে গাড়িটি ছেড়ে দিতে রাজি হন। তিনি ৫৫০০টাকা দিলে উনাকে ৫০০(পাচঁশত) টাকার একটি রেকার বিল ধরিয়ে দিয়ে বাকী টাকার কোন রশিদ দেননি। এমনকি কোন অপরাধে বিগত তিন দিন গাড়িটি আটক ছিল তা উল্লেখ করেন নি। ফলে এ চালক গাড়ির মালিকের কাছে কোন সদউত্তর দিতে পারেন নি। তিনি আরোও উল্লেখ করেন ,গাড়িটি আটকের পর রেকারম্যান থেকে শুরু করে পুলিশ লাইনের গেইটম্যান পর্যন্ত পদে পদে উৎকোচ দিতে হয়েছে। এরকম একাধিক ভ’ক্তভোগী জানান , নগরীর সব পরিবহনের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন নগরপুলিশের পরির্দশক শহিদুল ইসলাম। তাদের মতে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ গাড়ি চালকগণ। ভারীযান থেকে শুরু করে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালকরাও রেহাই পাচ্ছে না অসাধু ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুঁলিশের প্রকাশ্যে চাদাঁবাজি এখন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানান ভোক্তভোগিরা । কাগজ দেখার নাম করে রিক্যুইজিশনের ভয় দেখিয়ে চাদাঁবাজি করেন ট্রাফিক পুলিশরা । সুত্র জানায় ,কতিপয় অসাধু ট্রাফিক র্সাজেন্ট ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলদেরও চাঁদাবাজিতে উৎসাহিত করেন। একাধিক প্রাইভেট গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারদের অভিযোগ, বিভিন্ন অপরাধে রেকার দিয়ে টেনে যানবাহন পুলিশ লাইনে ঢুকানো হয়। তবে যত বড় অপরাধ থাকুক ৪/৫ হাজার টাকা নগরপুলিশের পরির্দশক শহিদুল ইসলামকে দিলে ১৩৭ ধারায় মামলা দিয়ে গাড়ি বের করে দেয়া হয়- এমন অভিযোগ রয়েছে নগর ট্রাফিকের পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ঢুকছে তার পকেটে। এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি ( ট্রাফিক) নিকোলিন চাকমা বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইজিবাইক ও রিক্সা বানিজ্য প্রসঙ্গে নিকোলিন চাকমা বলেন, অবৈধ ইজিবাইক প্রতিদিনই লাইনে ঢুকানো হচ্ছে।(চলবে)