সিলেট বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. দেলওয়ার হোসেনে বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. দেলওয়ার হোসেনে বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতবছরের ৩০ জুলাই সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। সূত্র জানায়, সিলেট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. দেলওয়ার হোসেনে বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতিসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভুত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের সুনিদিষ্ট অভিযোগ আসে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বন বিভাগের ৩৫০০০০০( পয়ত্রিশ লক্ষ টাকা) আত্মসাত করে আয়ের উৎসের সাথে সংগতিহীন সম্পদ ভোগ দখলে রাখার আপরাধে এ মামলা করা হয়েছে। সিলেট জেলার দুদকের সাবেক উপপরিচালক মো. মোজাহের আলী এ মামলাটি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ, সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরনীতে নিজ নামেও ছেলেমেয়ের নামে স্থাবর সম্পদ হিসাবে ১,৭৪,০০০/- টাকা (পৈত্রিক সম্পত্তি ব্যতিত) এবং অস্থাবর সম্পদ হিসাবে ৩৩,০৯,২৪৫/- টাকাসহ সর্বমোট ৩৪,৮৩,২৪৫ টাকার ঘোষনা দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরনী যাচাইকালে তার নিজ নামসহ ছেলে মেয়ের নামে স্থাবর সম্পদের ৪,২৯,৮৫৫/- টাকা ও অস্থাবর সম্পদের ৬১,১৪,২৫৭ টাকাসহ সর্বমোট ৬৫,৪৪,১১২ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। তাই গোপনীয় ও মিথ্যা ভিত্তিহীন ভাবে অর্জিত সম্পদ ভোগ দখলে রাখার অপরাধে ২৬(২) ধারায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানকালে আরো বের হয়ে আসে, মামলার আসামী দেলোয়ার হোসেন ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজের এবং সন্তানদের নামে মোট ৬৫,৪৪,১১২ টাকা অর্জন করেন। এছাড়াও তার আয় থেকে পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করেছে ১২,০৪,০০০/- টাকা। এক্ষেত্রে তার পারিবারিক ব্যয় সমুহ মোট সম্পদের পরিমান হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭,৪৮,১১২ /- টাকা। উক্ত টাকা তদন্তকালে পাওয়া যায় ৭২,৩০,০৭০/- টাকা। বাকি টাকা গোপনীয় ভাবে রাখার অপরাধে ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২৮ জুলাই উক্ত আসামী দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়। এ ব্যপারে বন বিভাগের হেড কার্ক আলতাফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। এই বিষয়ে আমরা কোন কিছু বলতে পারব না। অথচ বন বিভাগের প্রধান সহকারি কর্মকর্তা তিনি।