নবীগঞ্জে সবার প্রিয় মুখ ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ চৌধুরীর মৃত্যু
নবীগঞ্জ সংবাদদাতা: নবীগঞ্জ পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামের সবার প্রিয মুখ ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ চৌধুরী (২৮) রবিবার দুপুরে তার পিতা আব্দুল জলিল চৌধুরী জমাদার ও বোন জামাতাকে চিকিৎসা করাতে সিলেট গিয়ে নিজেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। তার এই অকাল মৃত্যুর খবরে স্বজনদের মধ্যে কান্নার রুল পড়ে। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ছুটে যান পৌর মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, প্যানেল মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ মিলু, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এটিএম সালাম, সাধারন সম্পাদক মোঃ সরওয়ার শিকদার, পৌর যুবলীগের আহবায়ক ফজল আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংবাদিক মতিউর রহমান মুন্নাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার লোকজন। বিকালে তার মরদেহ সিলেট থেকে নিজ বাড়ি ছালামতপুর গ্রামে পৌছলে এক হৃদয় বিদায়ক দৃশ্যের অবতারনার সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ছালামতপুরস্থ পৌর বাস টার্মিনালে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, গত শনিবার বিকালে নিহত জাহেদ চৌধুরী তার পিতা আব্দুল জলিল চৌধুরী জমাদার ও তার ভগ্নিপতিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সিলেট শহরে যায়। ডাক্তার দেখিয়ে তার পিতা ওই দিন রাতেই বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু জাহেদ চৌধুরী তার ভগ্নিপতির মেডিকেল চেকআপের রিপোর্ট আনার জন্য সিলেট শহরস্থ একটি হোটেলে রাত্রী যাপন করেন। রবিবার বেলা ৩ টায় রিপোর্ট আনার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ১২ টার দিকে হঠাৎ করে জাহেদ চৌধুরীর বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সাথে সাথে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সকলের প্রিয় মূখ ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা জাহেদ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর নবীগঞ্জে পৌছলে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।