বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই : সর্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা সভায় শেখ হাসিনা
১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদাররা যেভাবে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছিলো খালেদা জিয়া সেইভাবে মানুষ মেরেছেন
নিউইয়র্ক থেকে এনা: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশের মানুষকে জ্বালিয়ে- পুড়িয়ে মেরেছিলো খালেদা জিয়াও একইভাবে সরকার উৎখাতের নামে বাংলাদেশের মানুষকে জ্বালিয়ে ও পুড়িয়ে মেরেছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। অন্যদিকে সন্ত্রাস বা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বন্ধ করতে পারবে না। জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আসা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর (নিউইয়র্ক সময়) বিকেলে ম্যানহাটানের হিলটন হোটেলে বলরুমে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্বে করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, বন ও পরিবেশমন্ত্রী ডা.হাসান মাহমুদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কংগ্রেসওম্যান ইভাট ডি কার্ক প্রমুখ।
মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সৈয়দ বসারত আলী, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ মানিকী, লুৎফুল করিম, শামসুদ্দিন আজাদ, কোষাধক্ষ আবুল মনসুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুর রহিম বাদশা, ফারুক আহমেদ, চন্দন দত্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি কমান্ডার নূরন্নবী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করার পর চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত দেশে পরিণত করতে, আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে রূপান্তরিত করতে কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শিশু রাসেলকেও তারা বাঁচতে দেয়নি। আমরা দুই বোন বাইরে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি। তিনি বলেন, দু:ভাগ্যজনক হলো জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ইমডেমনেটি বিল পাশ করে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয় খুনিদের বিদেশ থেকে এনে দেশে পুনর্বাসন করে, আবার কাউকে কাউকে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। ২১ বছর পর জনগণের সেবার করার সুযোগ পেয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছিলাম।
তিনি বিএনপি জামাতের আন্দোলন সম্পর্কে বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বন্ধ করতে বিএনপি- জামাত জোট ২০১৩ সাল থেকে সন্ত্রাস শুরু করে। খালেদা জিয়া বাসা ছেড়ে অফিসে অবস্থান করলেন। ৬৫ জন লোক নিয়ে তিনি ৯২ দিন সেখানে থাকলেন। হুমকি দিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না। ১৯৭১ সালে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী যেভাবে জ্বালিয়ে- পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে খালেদা জিয়াও সেইভাবে মানুষ মেরেছেন। বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ, সিএনজি, রিক্সায় আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, পুড়িয়ে মানুষ মারা এটা কোন ধরনের রাজনীতি? আসলে তিনি বাংলাদেশকে ভালবাসেন না। বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চান।
কংগ্রেসওম্যান ইভাট ডি কার্ক চ্যাম্পিয়ন অব দা আর্থ পুরস্কার পাওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা আরো এই রকম নেতা চাই। যাদের নিয়ে আমরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা গর্ববোধ করতে পারে।