অর্থমন্ত্রীকে ‘কটাক্ষ’ : সিদ্দিকীর মাইক বন্ধ!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ‘কটাক্ষ’ করে বক্তৃতা দেওয়ায় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর মাইক বন্ধ করে দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কটাক্ষ করেন তাহজীব আলম।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনি কাউকে কটাক্ষ করে কিছু বলতে পারেন না, কার্যপ্রণালীবিধি অনুযায়ী কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে পারেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে তাহজীব আলম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বতন্ত্র পে-স্কেল প্রবর্তন, নতুন পে-স্কেলে সিলেকশন গ্রেড বাতিল এবং প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ প্রবর্তনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তারা সদ্য অনুমোদিত অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের বিরোধিতা করে কর্মবিরতি পালন করছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
এরপর অর্থমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তাহজীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তো অবশ্যই জ্ঞানের অভাব! না হলে মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক না হয়ে ওনারা সচিব হতেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলের ভিতরে ঢুকে দলের শীর্ষে অবস্থান করতেন এবং রাজনৈতিক সরকারেরও নীতি নির্ধারক হতেন। এ কথা বলার পরই তার মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ সময় তাহজীব আলম আরো বলেন, ভুলে গেলে চলবে না যে আমাদের জাতি গঠনের ঊষালগ্নে এই শিক্ষকরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও আমাদের ছাত্রসমাজকে শাণিত করেছিলেন শৃঙ্খলমুক্তির অজেয় মন্ত্রে। তখন দেশপ্রেমিক না হয়ে শুধু জ্ঞানী হলে নিশ্চই তারা শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমলাগিরি করতেন।
বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনাসহ ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’-এ শিক্ষকদের প্রাপ্য মর্যাদা সুনিশ্চিত করার দাবি জানান তাহজীব আলম সিদ্দিকী।