টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল
মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ পাহাড়ী ঢল ও টানা বষর্ণে তলিয়ে গেছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। বসতবাড়ী মোটা মোটি ভাল থাকলেও ভেসে গেছে উপজেলার ৯০% ফসলী জমি ও ফিসারীর মাছ। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে গৃহ বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০হাজারের বেশি মানুষ। ইউপি চেয়ারম্যানগন নৌকা যোগে পানি বন্ধি এলাকা পরিদর্শন করছেন।
গত ৩দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল গুলো। বানের পানিতে ভেসে গেছে ছোট-বড় প্রায় ৩শতাধিক ফিসারী। এছাড়া উপজেলার সবকয়েকটি ইউনিয়নের ৯০শতাংশ ফসলী জমি বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা সব হারিয়ে পড়েছে বিপাকে। বানের পানিতে গৃহবন্ধি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে ৩০হাজারের অধিক পাথর, বালূ ও বেলচা শ্রমিক। সরজমিনে উপজেলার রাংপানি, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, আসামপাড়া, নলজুরী, বিরাইমারা, খারুবিল, চাতলারপাড়, বাওনহাওর, কাটাখাল, ঢুলটিরপাড়, শেওলারটুক, গাতীগ্রাম, কন্দিগ্রাম, মল্লিফৌদ, মুক্তাপুর, আগফৌদ, লামাবস্তি, হাটিরগ্রাম, লামলীগ্রাম, ফুলবাড়ী, নয়াখেল, নওগাতী, হারাতৈল, দরবস্ত, শ্রীখেল, ডেমা, রনিফৌদ, লালাখাল, থুবাং, কালিঞ্জি, হর্ণি, বাইরাখেল, ময়নাহাটি, জাঙ্গাল হাটি, তিলকৈই পাড়া, মেঘলী, হাটিরগ্রাম ঘুরে দেখা যায় সবকয়েকটি গ্রামের কয়েকটি বাড়ী ঘর ছাড়া বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া অনবরত বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের ফলে উপজেলার রাংপানি নদী, শ্রীপুর নদী, নয়াগাং নদী, বড়গাং নদী ও সারী নদীর পানি বিপদ সীমার প্রায় ৩সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে আরও গ্রাম তলিয়ে যওয়ার আশংঙ্কা প্রকাশ করছে সচেতন মহল।
ইতি মধ্যে এসকল পানি বন্ধি এলাকা পরিদর্শন করছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। তারা এলাকাবাসীকে বিভিন্ন মসজিদের মাইকের মাধ্যমে সর্তক সংকেত দিচ্ছে এবং ঘুরে ঘুরে নৌকা যোগে পানি বন্দি মানুষের খোঁজ খবন নিচ্ছে। জরুরী শুকনো খাবারের জন্য উপজেলা চেয়রম্যান ও নির্বাহী অফিসারের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে। অপরদিকে বানের পানির ফলে উপজেলার কোথায় কোন অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, কামাল আহমদ, ইন্তাজ আলী, এম.এ.হক, রশিদ আহমদ জানান- বৃষ্টি বন্দ হলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে পানি নেমে আসবে। কিন্তু অনবরত বৃষ্টির ফলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা গ্রামের মসজিদে মসজিদে সর্তকবার্তা ঘোষনা করে এলাকাবাসীকে সর্তক থাকতে বলেছি। এছাড়া পানি বন্ধি গ্রাম গুলোতে নৌকা সহ উদ্ধার কাজের প্রয়োজনীয় সমাগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান সহ নির্বাহী অফিসারের কাছে শুকনা খাবারের জন্য আবেদন করেছি। এপর্যন্ত আমাদের এলাকায় কোথায় কোন অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।