জগন্নাথপুরে প্রবাসীর বাড়ির দেওয়াল ভাঙ্গা চাঁদাবাজী ও লুটপাট মামলায় ৩ জনকে জেল-হাজতে প্রেরণ
সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবপুর (আশিঘর) গ্রামের প্রবাসী নুরুল হকের বাড়ির নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা, চাঁদাবাজী ও লুটপাটের মামলায় গত ২৫ আগষ্ট ৩ জন আসামীর জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, প্রবাসী নুরুল হক ও তার ভাই আব্দুল হকের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৯/৩/২০১৫ইং নুরুল হক তার বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণকালে আব্দুল হক, তার পুত্র সোহেল আমীন, তুহেল আমীন ও কাহেল আমীন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নুরুল হককে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা প্রদান করে এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়। নুরুল হক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে গত ৩১/৩/২০১৫ ইং সকালে আব্দুল হক ও তার পুত্রগণ নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। তারা নির্মাণ সামগ্রী লুট করে এবং নুরুল হকের গৃহে লুটপাট চালায়। এ ব্যাপারে নুরুল হক বাদী হয়ে গত ১/৪/২০১৫ ইং জগন্নাথপুর থানায় আব্দুল হক, তার পুত্র সোহেল আমীন, তুহেল আমীন ও কাহেল আমীনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১/৬৫ (ধারা-১৪৩/১৪৪/১৪৯/৪৪৭/ ৩৮৫/৩৭৯/৩৮২/৪২৭/৫০৬/১৪৪ দঃবিঃ)। অপরদিকে আব্দুল হকের পুত্র সোহেল আমীনও বাদী হয়ে গত ৩/৪/২০১৫ ইং নুরুল হক সহ ৯ ব্যক্তিকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬/৭০ (ধারা-১৪৩/১৪৪/১৪৯/৪৪৮/ ৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৩৮২/৪২৭/৫০৬ দঃবিঃ)। উভয় মামলায়ই পুলিশ আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
নুরুল হকের দায়েরকৃত মামলায় আসামীরা সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করে। প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মামলায় নুরুল হক গং আদালত থেকে ৬/৪/২০১৫ ইং জামিন পাওয়ার পর প্রতিপক্ষের লোকজন আদালত প্রাঙ্গণে তাদের উপর সশস্ত্র হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে।
২৫/৮/২০১৫ইং নুরুল হকের দায়েরকৃত মামলার আসামীগণ সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামী আব্দুল হক, তুহেল আমীন ও রাহেল আমীনের জামিন বাতিল করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন। নুরুল হক আদালতে অভিযোগ করেন, মামলার আসামীদের উপর্যুপরি হুমকিতে তিনি ও তার লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।