ভয় থেকেই হাসিনা এখন ভিডিও কনফারেন্সে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ বলেছেন, সরকার এতটাই জনরোষে রয়েছে যে, তাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এখন তৃণমূলে যেতে ভয় পান। ঘরে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থাপনা উদ্বোধন করছেন। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল দল আয়োজিত এক আলোচনায় একথা বলেন।
হান্নান শাহ বলেন, ‘এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে ভয় পায়। এজন্য তিনি ঘটনাস্থলে না গিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উদ্বোধন করছেন।’
বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এতদিন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে সোনার ছেলেদের হত্যা করা হচ্ছে। এর পেছনেও তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। তাহলো- ভবিষ্যতে যাতে সরকার পরিবর্তন হলে তাদের মূল তথ্য প্রকাশ না হয়।’
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচন ২০১৯ সালের আগেই হবে। সরকার বিএনপির কিছু সুযোগ সন্ধানী নেতাদের নিয়ে ক্ষমতা ধরে রেখে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলে ভাবছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই- আপনাদের কিছু করতে পারব কিনা জানি না। তবে এবার আমরা নিজ দলের সুযোগ সন্ধানী নেতাকর্মীকে দেখে ছাড়ব।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘খালেদা জিয়াসহ দলের শতাধিক নেতাকেও জেলে দেয়া হয়, তবু ২০১৯ সালের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘১/১১’র সময় দলের মধ্যে একবার যড়যন্ত্র করেছিল সুযোগ সন্ধানী নেতারা। পরে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার যারা মামলা-হামলা থেকে বাঁচার জন্য যড়যন্ত্র লিপ্ত হবে, তাদের আর রক্ষা করা হবে না।’
সরকার উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিন, র্যাব-পুলিশ দিয়ে বাকস্বাধীনতা হরণ করবেন না। খুন, গুম, হত্যা মামলা দিয়ে তৃণমূলের আন্দোলন অতীতে বন্ধ করা যায়নি, আগামীতেও পারবেন না।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. হানিফ ব্যাপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবার খন্দকার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিংকন প্রমুখ।