৭২ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ যমুনার দুই তিরে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে বন্যার পানি বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। জামালপুরেও ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
উজানের ঢলে বাড়ছে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার সব নদ-নদীর পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নওগাঁর শিমুলতলী এলাকায় আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে পঞ্চাশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বাড়ায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে তিন বছরের এক শিশু মারা গেছে। পানিবন্দি রয়েছে অন্তত দেড় লাখ মানুষ।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যায় কাজীপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৯ টিই প্লাবিত হয়েছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বেশিরভাগ জায়গা বন্যা কবলিত হয়েছে। সোমেশ্বরী নদীর ঢলে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৭০টি গ্রাম।
জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে যমুনার তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাটের ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেঃ মিঃ ওপর দিয়ে বইছে। তবে তিস্তা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি যে কোন সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়লেও কমেছে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি। এতে পরশুরাম ও ফুলগাজীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।