নতুন সাধারণ সম্পাদক খুঁজতে বললেন আশরাফ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আর থাকতে চাইছেন না সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আগামী কাউন্সিলে দলের জন্য নতুন সাধারণ সম্পাদক খুঁজতে অনুরোধ করেছেন দলীয় প্রধানকে। সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা জানিয়েছেন এ তথ্য।
এদিকে সদ্য দফতর হারানো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আগামী বুধবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে লন্ডনে যাচ্ছেন। সৈয়দ আশরাফের দফতর হারানো এবং তার লন্ডন সফরকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যেও চলছে নানা গুঞ্জন। অনেকেই মনে করছেন, লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে হয়তো আর সক্রিয়ভাবে পাওয়া যাবে না তাকে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুরোধ করেছেন, আগামী কাউন্সিলে তাকে যেন তার দলের এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে না রাখা হয়। সামনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তার চেয়ে যোগ্য কাউকে এ পদে বসানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তার এ অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী নাকি তাকে বলেছেন, সেটা সময় এলেই দেখা যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
সৈয়দ আশরাফ নিজেও আগামীতে দলীয় দায়িত্বে না থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার নির্বাচনি এলাকা হোসেনপুর সমিতির এক ইফতারে সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, আমি মন্ত্রী হই বা না হই, রাজনীতি করি বা না করি, সব সময় হোসেনপুরের সঙ্গে আছি। যেখানেই থাকি হোসেনপুরের উন্নয়নে কাজ করব। সৈয়দ আশরাফের আস্থাভাজন দলের এক তরুণ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আশরাফ ভাই গত কাউন্সিলের আগেই দলের দায়িত্ব না দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। তখন পরিস্থিতি আমি সামাল দিতে পারব না।’ জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘আমি যে সিদ্ধান্ত নেব তার প্রতি আস্থা আছে?’ সৈয়দ আশরাফ ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দিয়ে গণভবন ছেড়েছিলেন। পরের দিনই দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন আশরাফ ভাই।’
তার মতে, এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। আশরাফ ভাই দলের সাধারণ সম্পাদকের আর দায়িত্বে থাকতে চাইছেন না। জেলা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আশরাফ ভাই সবসময়ই বলে আসছেন, জেলা দেখার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকরা রয়েছেন। আপনারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি বলেন, তিনি সবসময়ই দলে চেইন অব কমান্ড মেনে চলতে চেয়েছেন যেটা আমাদের অনেকেরই পছন্দ নয়। ওই নেতা পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চাইছেন, সৈয়দ আশরাফ মন্ত্রণালয়ে যান না বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তার মন্ত্রণালয়ের কোনো ফাইল কতদিন পড়ে ছিল?