‘বাংলাওয়াশ’ এড়াল ভারত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ অবশেষে বাংলাদেশকে হারাতে পারল ভারত। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৭৭ রানে জিতে ‘বাংলাওয়াশ’ এড়িয়ে কিছুটা সম্মানজনকভাবে দেশে যাওয়া নিশ্চিত করল মাহেন্দ্র সিং ধোনীর দল। ৩১৮ রানের টার্গেটে খেলতে নামা বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে না পারায় জয় পেল ভারত।
বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে যাওয়ায় শেষ ম্যাচটি ছিল ভারতেরর কাছে কেবল সম্মানরক্ষার। সে কাজটা তারা ভালো ভাবেই করতে পেরেছে।
প্রথম দুই ম্যাচের এক ম্যাচেও ২৫০ রান করতে না পারা ভারত শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান করে বাংলাদেশকে ৩১৮ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেয়।
৩১৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার তামিম ইকবাল ফিরে যান, অবশ্য রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে তাকে দেয়া লেগ বিফোর আউটি কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তামিমকে হারালেও আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার তাঁর স্বভাব সুলব নান্দনিক শটের পসরা বসিয়ে খেলতে থাকলে উড়ন্ত একটি সূচনায় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৪০ রান করে সৌম্য ফিরে গেলে আবারও ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। তবে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে খেলায় রেখেছিলেন কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে এই দুজন আউট হয়ে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন চলে যায় ভারতের হাতে।
সাকিব ও সাব্বির রহমান মাঝে ঝড়ো ব্যাটিং করে আশা জাগালেও এই জুটি ভাঙ্গে সাকিবের উচ্চবিলাসী শটে। সাকিব আউট হবার পর নাসিরকে নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য আশা ফিরিয়ে এনেছিলেন কিন্তু স্টুয়ার্ট বিনির বলে সাব্বির বোল্ড আউট হয়ে গেলে ভারতের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
ভারতের পক্ষে সুরেশ রায়না ৪৫ রানে ৩টি এবং অশ্বিন ৩৫ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিং-এ পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে ভারতীয় দুই ওপেনার চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও ৩৯ রানেই প্রথম উইকেটের পতন হয়। মুস্তাফিজ ম্যাজিকে ফিরে যান রোহিত শর্মা।
কোহলি ও ধাওয়ান মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পাশাপাশি রানের চাকা সচল রাখেন। তবে ১১৪ রানের মাথায় ২৫ রান করা কোহলিকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে ১৯৮তম উইকেট তোলে নেন সাকিব আল হাসান। এরপর ১৫৮ রানের মাথায় ৭৫ রান করা ধাওয়ানকে আউট করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মাশরাফি। তবে অপরপ্রান্তে ধোনী ছিলেন স্বভাবসুলব। চাপের মুখে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে মাশরাফির বলেই আউট হন তিনি। এছাড়া আম্বাতি রাইডু করেন ৪৪ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি ৭৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট, মুস্তাফিজ ৫৭ রান দিয়ে ২ উইকেট এবং সাকিব ৩৩ রান দিয়ে ১ উইকেট পান।