নবীগঞ্জে সিএনজি ষ্ট্যান্ড দখল নিয়ে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ,গুলি : পুলিশসহ আহত ১০
সিএনজি চালক বেলাল নিহত,গুরুতর আহত, শামসুকে ওসমানীতে প্রেরন
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জ-আইনগাঁও সড়কের রুদ্রগ্রাম রোডস্থ সিএনজি ষ্ট্যান্ডের দখল-বেদখলের ঘটনার জেরধরে গতকাল রবিবার বিকালে প্রতিপক্ষের লোকজন দাড়ানো অবস্থায় প্রকাশ্যে হত্যা করেছে শহরের নোয়াপাড়া গ্রামের বেলাল মিয়া (২৫) নামের এক সিএনজি চালককে। মৃত্যুর খবরে শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত বেলাল মিয়া পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। বেলালের উপর হামলার পর পরই এ ঘটনার জের ধরে বেলালের পক্ষের লোকজন আইনগাও পয়েন্টে শামসু মিয়াকে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে এইচ কে এন্টার প্রাইজ স্যানেটারীর দোকানের ঢুকে পড়লে সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি হামলা করলে সেও গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এম এজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ সময় এইচকে এন্টার প্রাইজের মালমাল ভাংচুর করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, শনিবার দুপুরে নবীগঞ্জ-আইনগাওঁ সড়কের সিএনজি ষ্ট্যান্ডের দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান ম্যানাজার ফারুক মিয়া ও দুলাল মিয়াগংরা। অপর পক্ষে রয়েছে ছাত্রনেতা রায়েছ চৌধুরী এবং সামছু মিয়াগংরা। এ ঘটনায় শনিবার রাতে উভয় পক্ষ নবীগঞ্জ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন। এদিকে গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরে হট্রগোলের খবর পেয়ে নোয়াপাড়া গ্রামের বেলাল মিয়া শহরের শেরপুর রোডস্থ মা- হোটেলের সামনে আসলে গতদিনের ঘটনার জের ধরে রায়েছ চৌধুরী ও সামছু মিয়ার নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেলালকে আঘাত করলে আহত করে পালিয়ে যায়। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছেন এই হত্যাকান্ডের পিছনে একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধন রয়েছে। স্থানীয় লোকজন মুর্মুষ অবস্থায় তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তাকে আংশকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে পৌছার পুর্বেই বেলাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ খবর শহরে পৌছলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার সাজিদুর রহমান এবং থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ লিয়াকত আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত বেলালের মৃতদেহ ওসমানী মেডিকেলে ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বাড়িতে আনা হবে বলে জানাগেছে। এদিকে নিহতের চাচা পত্রিকার এজেন্ট মোশাহিদ আলী এবং মিয়াধন মিয়াসহ এলাকাবাসী বেলালকে নৃশংস ভাবে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।