৯৩৩ গ্রাম সোনাসহ সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী আটক
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮টি স্বর্ণের বারসহ এক কর্মচারিকে আটক করা হয়েছে। আটক মোসব্বির আলী সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের এলআর (লাউঞ্জ রুম অপারেটর) পদের কর্মচারী। প্রায় ১৫ বছর যাবত তিনি এখানে কাজ করছেন। মোসব্বির গোয়াইনঘাটের নয়াগ্রামের বাসিন্দা কুদরাতউল্লাহর ছেলে। কাস্টমস সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমানের ফাইট বিজি-০২৮ জেদ্দা থেকে সিলেটে অবতরণের পর কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোসব্বির আলীকে স্বর্ণের বারসহ আটক করা হয়। তার শরীর তল্লাশি করে প্রায় এক কেজি ওজনের ৮টি স্বর্ণের বার জব্ধ করা হয়।
কমিশনার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ড. একেএম নুরুজ্জামান গতকাল সকাল থেকেই কাস্টমস কর্মকর্তাদের সচেতনভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিমানবন্দরে তিনি বিশেষ নজরধারী বাড়ান। বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের ফাইট বিজি-০২৮ জেদ্দা থেকে সিলেটে অবতরণ করলে মসব্বির আলীর গতিবিধি গোপন ক্যামেরায় (সিসিটিভি) সন্দেহজনক মনে হয় কর্মকর্তাদের। সন্ধ্যা ৬টায় তার শরীর তল্লাশি করে স্বর্ণের বারগুলো জব্দ ও তাকে আটক করা হয়। স্বর্ণেরবার কিভাবে ও কোথায় থেকে এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম। সিলেট ওমানী বিমানবন্দরের সহকারী কাস্টমস কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, গতকাল সকালে কমিশনার স্যার (কাস্টমস কমিশনার এ.কে.এম নুরুজ্জামান) আমাদের শতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। কেননা উনার কাছে তথ্য ছিলো এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। সে অনুযায়ী আমরা বিকেলে ফাইটটি আসার পর শতর্কতা অবলম্বন করি এক পর্যায়ে আটক মোসব্বির আলীকে সন্দেহ হয় আমাদের। তাকে তল্লাসি করে তার কাছ থেকে একটি পেকেট উদ্ধার করা হয়। যার ভেতরে ৮টি স্বর্ণের বার বেরিয়ে পড়ে। জব্ধকৃত স্বর্ণের ওজন ৯শত ৩৩ গ্রাম বলে জানান প্রভাত কুমার সিংহ।
তিনি আরো জানান মোসব্বির আলীর বিরুদ্ধে শুল্ক আইন ও বিশেষ মতা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া শেষে তাকে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হবে। বর্তমানে মোসব্বির কাস্টম হেফাজতে রয়েছেন।