অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ দেশের অভিভাবক হিসেবে সংলাপের উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। দেশের চলমান সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘মৃত্যুর কাফেলা দিনদিন ভারি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ৯০ জন নিরীহ জনগণকে হারিয়েছি। চারদিকে লাশের গন্ধ পাই। একদল বোমাবাজির মাধ্যমে লাশ ফেলার রাজনীতি করছে, অন্যদল লাশের রাজনীতি করছে। যারা এ সকল কর্মে লিপ্ত তারা সকলেই অপরাধী এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘অবিলম্বে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতেহবে।গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা যাবে না।’
এসময় তিনি বিরাজমান সঙ্কট নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ না করলে রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান। মানববন্ধনে সাবেক নির্বাচন কশিনার অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় তারাই এই অবরোধ ও সহিংসতায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বলেন, ‘রাজনীতি আজ রাজনীতিবিদদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, যা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।’
সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন বলেন, ‘প্রতি পাঁচ বছর পরপর আমরা ক্ষমতার পালাবদল দেখি, কিন্তু এতে আমাদের রাজনীতির গুণগত মানে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখতে পাই না। প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। এই অবরোধে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আজ চরমে পৌঁছেছে। বিশ্বাস না হলে আপনারা ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখতে পারেন।’
রুহিন হোসেন প্রিন্স অবিলম্বে এ সঙ্কটের সমাধান দাবি করে বলেন, ‘আন্দোলনের নামে এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।’
তিনি ২০-দলীয় জোটের উদ্দেশে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।’
তিনি সরকারকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং নির্বাচনে ‘না’ ভোট পুনরায় প্রবর্তনের দাবি জানান। সভাপতির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন, ‘সংলাপ ছাড়া এ সঙ্কটের সমাধান সম্ভব নয়। সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানও রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে। এ রাজনৈতিক সঙ্কটের টেকসই সমাধানে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সুজন সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, জাতীয় কমিটির সদস্য মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নাজমা হাসিন, হুমায়ূন কবির হিরু, আতাউল করিম ফারুক, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, আবুল হাসনাত, কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ক্যামেলিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, জাহাঙ্গীর যুবরাজ, শামীম আরা নীপা, রওশন আরা ডেইজি ও জাভেদ জাহান প্রমুখ।