ওবামা-মোদি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বেসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজ গার্ডেনে ওবামা ও মোদি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রনে তিনদিনের ভারত সফরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কাল সোমবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ওবামা। কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই প্রথম ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকছেন।
রোববার বেলা সোয়া তিনটার দিকে হায়দরাবাদ হাউসে ওবামা-মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয়। এরই মধ্যে দুই সরকারপ্রধান বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি (টু থাউজেন্ড এইট সিভিল নিউক্লিয়ার কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করেন। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এ দুই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ‘বারাক’ বলে সম্বোধন করে মোদি বলেন, ‘বারাক ও আমি পরস্পরের বন্ধু। আমরা টেলিফোনে আলাপ করি, হাস্যরস করি। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের দেশ ও জনগণকে আরো কাছে এনেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি নতুন প্রধানমন্ত্রী।কিন্তু আমি বিশ্বাস করি দেশের এই সম্পর্ক রাজনৈতিক নেতাদের কেমিস্ট্রির ওপর নির্ভর করে।’
দীর্ঘ ছয় বছর পর আমেরিকার সঙ্গে ভারত কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করলো জানিয়ে মোদি বলেন, ‘ছয় বছর পর আমরা একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আমরা বানিজ্যিক সচলতার দিকে এগোচ্ছি।’
মোদি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে আরও বেশি শক্তিশালী হবে।আমরা বিশ্বাস করি সন্ত্রাসবাদ এড়াতে আমাদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে।’
‘নমস্তে’, বলেই বক্তব্য শুরু করেন বারাক ওবামা। তিনি বলেন, আমরা একটি সাফল্য অর্জন করেছি এবং বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
ওবামা বলেন, ‘বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা আমাদের সম্পর্ককে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ওবামা জানান, মোদির সঙ্গে তার ঘুম নিয়েও কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মোদি আমার থেকে অনেক কম ঘুমোয় কারণ উনি নতুন। আর আমি ছ’বছর ধরে এই পদে রয়েছি।’
এর আগে হায়দারবাদ হাউজের বারান্দায় দুই নেতা হাটতে হাটতে আলাপচারিতা করেন। পরে তারা চায়ের কাপে হাতে বৈঠকে বসেন। আর চা পরিবেশন করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।