কলেজের উন্নয়নে আমার প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে : বিদায় সংবর্ধনায় অধ্যক্ষ মিহির রঞ্জন দাস
জুবের সরদার দিগন্ত, দিরাই প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে দিরাই ডিগ্রি কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ মিহির রঞ্জন দাস বলেছেন, আমি ৩২ বছর পুর্বে এই কলেজের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতার জীবন শুরু করি, এরপর পর্যায়ক্রমে উপাধ্যক্ষ ও পাঁচ বছর আগে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাই, আমার দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনে আমি কলেজের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছি, বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে আমি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন কালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আন্তরিক সহযোগীতায় কলেজের অবকাঠামো শিক্ষকদের আর্থিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করি। উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে মিহির দাস বলেন, যখন আমি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাই তখন শিক্ষকদের বেতন বকেয়া ছিল ২২ লাখ টাকা। কলেজে ব্যঞ্চ ছিল ৭ থেকে ৮ জোড়া চেয়ার ছিল ১৩ থেকে ১৪ টি। বর্তমানে ব্যঞ্চ আছে চারশ জোড়া চেয়ার আছে একশয়ের উপর। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর শিক্ষকদের পাওনা ২২ লাখ বেতন পরিশোধ করেছি। কলেজের নতুন বিল্ডিং করার জন্য ২ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতি ও আসবাপত্রের জন্য আরো টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। তার আমলে কলেজে অনার্স কোর্স চালু না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক পাকিস্তান পন্থি শিক্ষকদের কারনে কলেজের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, তারা সময় মতো কাস না নিয়ে রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংয়ে চলে যান। এক প্রর্যায়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর হলেও কিছু সংখ্যক শিক্ষকের কারনে আমাদের এই সুনাম ম্লান হচ্ছে। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেখানে যে অবস্থায়ই থাকি না কেন কলেজের উন্নয়নে আমার প্রচেষ্ঠা অব্যহত থাকবে। এক প্রর্যায়ে জলভারা চোখে তিনি বলেন, কলেজের সার্থে সবাইকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। গতকাল সোমবার দূপুরে কলেজের ছাত্র-ছাত্রী আয়োজিত বিদায় সংবর্ধর্না তিনি এসব কথা বলেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনকুল চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে ও কলেজ ছাত্র উজ্জল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক এইচ এম ফারুক, সহকারী অধ্যাপক সুয়েব চৌধুরী, প্রদীপ কুমার দাস, শিরিনা আক্তার, সফিকুল ইসলাম, রঞ্জিত দাস, মিনা রানী বৈষ্ণব, সাংবাদিক সামছুল ইসলাম সরদার, কলেজ ছাত্র মান্না তালুকতার, মুফাছির রহমান, রাজিব রায় মেহেদী সাহান প্রমূখ।