পাকিস্তানে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষে নিহত ৫৭
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ পাকিস্তানে শনিবার রাতে একটি যাত্রীবাহী বাস এবং তেল টেঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েক জন। সংঘর্ষের পর দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়।
যাত্রীবাহী বাসটি করাচি থেকে শিকারপুর যাওয়ার পথে সুপার হাইওয়ে লিঙ্ক রোডে এই দুর্ঘটনায় পড়ে।
করাচির উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা রাও মুহাম্মদ আনওয়ার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, সংঘর্ষের পরপরই বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ বেশ বহু মানুষ মারা যায়। কিছু মৃতদেহ আগুনে এমনভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের চেনা যাচ্ছেনা।
এদিকে করাচির জিন্না হাসপাতালের চিকিৎসক সেমি জামালি এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা ৫৭টির বেশি মৃতদেহ পেয়েছি। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কেননা আগুনে পুড়ে যাওয়াদের অধিকাংশ মৃতদেহ একটার সঙ্গে অন্যটা লেগে গেছে।’
ডা. জামিল আরো জানিয়েছেন, কমপক্ষে ছয়টি শিশুর লাশ নারীদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আছে এবং ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীরা শিশুদের মা। তিনি আরো বলছেন, অনেকে এমনভাবে পুড়েছে যে তাদের লাশ সনাক্ত করা যাচ্ছে না। কেবল ডিএনএ টেস্ট করলেই তাদের পরিচয় জানা যাবে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে ডন পত্রিকা জানিয়েছে, নিহতদের সবাই বাসের যাত্রী। বাসটিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছিল। এর ছাদেও বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিল। তবে গাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ার পর তারা লাফিয়ে নেমে যাওয়ায় বেঁচে গেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানা্ যায়নি। এ সম্পর্কে করাচির পুলিশ কমিশনার সোয়াইব সিদ্দিক বলেন, তেলবাহী ট্যাংকারের চালকের অবহেলার কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই চালক।
পাকিস্তানে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৯ হাজার সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। এতে মারা যায় সাড়ে চার হাজার মানুষ।
মাত্র দু মাস আগে সিন্ধু প্রদেশের খাইরপুর এলাকায় এ ধরনের আর একটি বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল কমপক্ষে ৫০ জন।